সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ড

‘ফায়ার সার্ভিসের ইতিহাসে এটি একটি নজিরবিহীন ঘটনা’

বিএম কনটেইনার ডিপো থেকে ব্রিফ করছেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের চট্টগ্রাম বিভাগীয় উপপরিচালক আনিসুর রহমান। ছবি: স্টার

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোর অগ্নিকাণ্ডে ফায়ার ফাইটারদের হতাহতের বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের চট্টগ্রাম বিভাগীয় উপপরিচালক আনিসুর রহমান বলেছেন, ফায়ার সার্ভিসের ইতিহাসে এটি একটি নজিরবিহীন ঘটনা।

তিনি বলেন, 'আজ মঙ্গলবারও ডিপোর ধ্বংসস্তূপ থেকে দুটি দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে। আমাদের হিসেবে এখন পর্যন্ত ৪৪ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে। এরমধ্যে ফায়ার সার্ভিস সদস্য আছেন ১২ জন। ৯ জনের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে, ৩ জন নিখোঁজ আছেন।'

আনিসুর রহমান বলেন, 'ডিপোর আগুন পুরোপুরি নেভাতে কাজ চলছে। আমাদের কর্মীরা এখনো ধ্বংসস্তূপে তল্লাশি চালাচ্ছেন।'

'ডিপো কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সেখানে মোট ৪ হাজার ১১৩টি কনটেইনার ছিল। এরমধ্যে শতাধিক ছিল পণ্যবোঝাই। ২৭টি কনটেইনারে রাসায়নিক পদার্থ ছিল, যার ১৫টি ধ্বংস হয়ে গেছে', যোগ করেন তিনি।

ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা বলেন, 'রাসায়নিক বোঝাই বাকি কনটেইনারগুলো ডিপোর ভেতরেই একটু নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে রাখা হয়েছে। যেহেতু এগুলো দীর্ঘসময় আগুনের সংস্পর্শে ছিল, তাই আবারও ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। সে কারণে কনটেইনারগুলোকে পুরোপুরি নিরাপদ বলা যাচ্ছে না।'

তিনি বলেন, 'ডিপোতে প্রথমে দুটি কনটেইনারে আগুন লেগেছিল। ফায়ার সার্ভিস যখন আগুন নেভাতে যায়, তখন ডিপো কর্তৃপক্ষ আমাদের জানায়নি যে, সেখানে রাসায়নিক পদার্থ আছে। যে কারণে আমাদের ১২ জন সদস্যকে প্রাণ দিতে হয়েছে।'

আনিসুর রহমান আরও বলেন, 'ডিপোর আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট ও ২৫০ কর্মী কাজ করছিলেন। তবে গতকাল থেকে ইউনিটের সংখ্যা সীমিত করা হয়েছে এবং এখন ৬টি ইউনিট কাজ করছে। যেহেতু আগুন নিভে এসেছে প্রায়, সেহেতু এ সংখ্যা আরও কমিয়ে আনা হবে।' 

Comments

The Daily Star  | English
eid-ul-azha emergency cases at pongu hospital

An Eid evening at Pongu Hospital: overflowing emergency, lingering waits

The hospital, formally known as NITOR, is a 1,000-bed tertiary medical facility that receives referral patients from all over the country

2h ago