ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ১০ কিলোমিটার যানজট

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়ে নারায়ণগঞ্জ অংশের ১০ কিলোমিটার পর্যন্ত তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র ঈদুল আযহার উপলক্ষে শহর ছাড়তে শুরু করেছেন মানুষ। ফলে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়ে নারায়ণগঞ্জ অংশের ১০ কিলোমিটার পর্যন্ত তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।

আজ বুধবার বিকেলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মদনপুর চৌরাস্তার মোড় থেকে মেঘনা টোল প্লাজা পর্যন্ত এ যানজট সৃষ্টি হয়। সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত যানজট ছিল।

মহাসড়কের মোগরাপাড়া এলাকার চা বিক্রেতা কুদ্দুস মিয়া দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, '১২টার পর থেকেই ধীরে ধীরে গাড়িগুলো চলছিল। ২টার পর থেকে চলাও বন্ধ হয়ে যায়। এখন গাড়িগুলোর ইঞ্জিন থামিয়ে চালকরা বসে আছেন। ঢাকা-চট্টগ্রাম উভয়মুখী সড়কেই যানজট। ফলে, ঢাকা কোনো গাড়ি ঢাকা যেতে পারছে, আবার চট্টগ্রামেও যেতে পারছে না। মহাসড়কে ঠাই দাঁড়িয়ে আছে।'

শিক্ষক শরিফুল ইসলাম বলেন, 'দুপুর ২টায় জরুরি কাজে সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে সোনারগাঁও এসেছিলাম। ১৫ থেকে ২০ মিনিটের রাস্তা এক ঘণ্টা সময় লেগেছে। এখন ফিরে যাচ্ছি (সন্ধ্যা ৬টায়) তবে, মহাসড়ক বদলে সোনারগাঁ-নবীগঞ্জ রেললাইন সড়ক দিয়ে।'

শিমরাইল এলাকায় সোহাগ পরিবহনের টিকেট বিক্রেতা নিশাত রহমান বলেন, 'ঢাকা থেকে শিমরাইল মোড় হয়ে কাঁচপুর পর্যন্ত কোনো যানজট নেই। যানজট শুরু হয়েছে মদনপুর মোড় থেকে। কারণ এখানে সিগনালে যানজট সৃষ্টি হয়। দুপুর পর্যন্ত যানজট মোগরাপাড়া ছিল। এখন সেটা মেঘনাটোল প্লাজা গিয়ে ঠেকেছে। মদনপুর থেকে মেঘনা টোল প্লাজা পর্যন্ত ১৫ থেকে ২০ মিনিটের রাস্তায় যানজটের জন্য এক থেকে দেড় ঘণ্টা পর্যন্ত লেগে যাচ্ছে।'

বাস চালকের বরাত দিয়ে নিশাত আরও বলেন, 'চালকরা বলছে রাস্তায় প্রচুর ট্রাক, কভার্ডভ্যান আছে। এ কারণেও যানজট সৃষ্টি হয়েছে।'

কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নবীর হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ঈদ উপলক্ষ্যে স্কুল ছুটি হওয়ায় অনেকেই পরিবার নিয়ে গ্রামে যাচ্ছেন। আবার পণ্যবাহী ট্রাক, কাভার্ডভ্যান সবই চলাচল করছে। ফলে মহাসড়কে গাড়ির চাপ বেড়েছে। তাই গাড়িগুলো ধীর গতিতে চলছে।'

তিনি আরও বলেন, 'ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মদনপুর মোড়ে পণ্যবাহী ট্রাকগুলো এশিয়ান হাইওয়েতে প্রবেশ করতে গেলে সিগনালে ৫-১০ মিনিটের জন্য ঢাকা ও চট্টগ্রাম উভয়মুখী সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়। সেই যানজটই কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত চলে যায়। যা স্বাভাবিক হতে সময় লাগে। আমরা যানজট নিরসনে ৫ শতাধিক পুলিশ মোতায়ন করেছি। আশা করছি দ্রুত যান চলাচল স্বাভাবিক হবে।'

তিনি আরও বলেন, 'ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মদনপুর মোড়েই মূলত যানজট সৃষ্টি হয়। এখানে ওভারপাস দরকার। ওভারপাস সুবিধা থাকলে আর যানজট হবে না। এখানে যানজট না হলে মেঘনা টোলপ্লাজা পর্যন্ত গাড়িগুলো কোনো বাধা ছাড়াই যেতে পারবে। বিষয়টি আমরা উর্ধ্বতনদের জানিয়েছি।'

Comments

The Daily Star  | English
ACC investigation on Bangladesh Bank officials

ACC finds no lockers or safe deposits under 25 BB officials' names

An eight-member ACC team went to the central bank today to conduct a search

53m ago