ডেঙ্গু নিয়ে তথ্য ও পরামর্শে ডিএনসিসির কন্ট্রোল রুম চালু

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীতে বিদ্যমান ডেঙ্গু পরিস্থিতিতে নগরবাসীকে বিনামূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষার স্থান এবং ডেঙ্গু জ্বর সম্পর্কিত যে কোনো তথ্য বা ডেঙ্গু সম্পর্কিত যে কোনো অভিযোগের জন্য কন্ট্রোল রুম চালু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)।

আজ শনিবার ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, শহরের বাসা-বাড়ির ছাদের ছাদ বাগান, ছাদে জমা পানি, চৌবাচ্চা এবং বৃষ্টির পানি বা পরিষ্কার পানি জমতে পারে এ ধরণের স্থান ও পাত্র সার্ভে করা এবং অব্যবহৃত টায়ার, কমোড ও মশার প্রজনন ক্ষেত্র আছে কিনা সেটি দেখতে অত্যাধুনিক ড্রোন ব্যবহার করছে ডিএনসিসি। অত্যাধুনিক ড্রোনের সাহায্যে সেগুলো খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এর ফলে প্রতিটি বাড়ির ছাদে না উঠেই নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে মশার উৎস সম্পর্কে।

এর আগে, গত ৩০ জুন সকালে রাজধানীর উত্তরা সেক্টর-৪ এলাকায় ড্রোন সার্ভে কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম ২ জুলাই থেকে ১১জুলাই ঢাকা উত্তর সিটির আওতাধীন প্রতিটি বাসা বাড়ির ছাদে অত্যাধুনিক ড্রোনের মাধ্যমে বিশেষ অভিযান পরিচালনার ঘোষণা দেন। বিদ্যমান ডেঙ্গু পরিস্থিতি বিবেচনায় অভিযান এখনো চলমান।

ডিএনসিসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আজ ১৬ জুলাই পর্যন্ত চলা এই ড্রোন সার্ভে কার্যক্রমের মাধ্যমে মোট ৭ হাজার ৭৮৬টি বাড়ির ছাদ, ১ হাজার ৩৪৩টি ছাদ বাগানে ড্রোন সার্ভে করা হয়। এর মধ্যে ২২৮টি ছাদে জমা পানি পাওয়া যায় এবং ৫টি বাড়ির ছাদে এডিসের লার্ভা শনাক্ত করা হয়। বাড়ির মালিকদের সতর্ক করে দেওয়া হয় এবং লার্ভা পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়।

উল্লেখ্য, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাড়ির ছাদে এই ড্রোন সার্ভে চলমান থাকবে। এছাড়াও ওয়াসার পানির মিটার এবং এ জাতীয় অন্যান্য স্থানে প্রতিমাসে প্রথম সপ্তাহে দানাদার কীটনাশক নোভালুরন প্রয়োগ করা হচ্ছে। মশার প্রজনন স্থান হিসেবে চিহ্নিত সকল নালা, নর্দমা এবং জলাশয়ে নিয়মিত গাপ্পি মাছ ছাড়া হচ্ছে।

এদিকে নির্মাণাধীন ভবনে নিয়মিত লার্ভিসাইডিং করা হচ্ছে। এছাড়া ভবন মালিক এবং নির্মাণ শ্রমিকদের জমে থাকা পানিতে কেরোসিন তেল প্রয়োগের পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।

এ ছাড়াও, নগরবাসীকে সচেতন করার লক্ষ্যে ডিএনসিসির প্রতিটি অঞ্চলে মাইকের সাহায্যে সচেতনতামূলক বার্তা প্রচার করা হচ্ছে এবং সচেতনতা বার্তা সম্বলিত লিফলেট ও স্টিকার বিতরণ করা হচ্ছে। বাসা বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে।

যেসব নম্বরে ফোন করে নগরবাসী কন্ট্রোল রুমের যেকোনো পরামর্শ নিতে পারবেন- ০১৭৬৯১০০৬৮০, ০১৭১৬৫০৬২৫৮, ০১৭১৫২৩৮৭৫৪, ০১৭১৫৪৫৬৬৯৮, ০১৭৫৬২০৯৪৮২, ০১৭১৬৩৯৮৮৮৬, ০১৭৩৫৮৪৩৬৯৩।

Comments

The Daily Star  | English

No clear roadmap for investment

The budget for FY26 has drawn strong criticism from business leaders who say it lacks a clear roadmap for improving the investment climate, bolstering industrial competitiveness, and implementing overdue reforms in the banking sector.

14h ago