জবাবদিহিতা ছাড়া র‍্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার সম্ভব না: মার্কিন রাষ্ট্রদূত

যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। ছবি: সংগৃহীত

র‍্যাবের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের সুরাহায় সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা ও বাহিনীটিকে জবাবদিহিতায় আনা ছাড়া নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।

আজ রোববার রাজধানীতে এক সেমিনারে মার্কিন রাষ্ট্রদূত এ কথা বলেন। যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়ে এই সেমিনার আয়োজন করে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্রাটেজিক স্ট্যাডিজ (বিআইআইএসএস)।

পিটার হাস বলেন, 'আমরা র‌্যাবকে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় কার্যকর একটি বাহিনী হিসেবে দেখতে চাই। তবে তাদের মৌলিক মানবাধিকারও মেনে চলতে হবে।'

রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যের আগে র‍্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন সেমিনারে বক্তব্য রাখেন। যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতায় ২০১১ সালে র‍্যাব কীভাবে বাহিনীর সদস্যদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে অভ্যন্তরীণ তদন্ত সেল গঠন করে তার ব্যাপারে জানান।

তিনি বলেন, ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেটিভ ট্রেনিং অ্যাসিস্ট্যান্স প্রোগ্রামের আওতায় র‍্যাবের ১৪৭ জন জিজ্ঞাসাবাদ ও মানবাধিকার বিষয়ে প্রশিক্ষণ পেয়েছেন। স্বচ্ছতা ও মানবাধিকার সুরক্ষায় তাদেরকে র‍্যাবের সব জায়গায় নিয়োজিত করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত জেমস এফ মরিয়াট্রি র‍্যাবকে বাংলাদেশের এফবিআই হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন। সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় র‍্যাব তখন থেকেই সাফল্য দেখিয়েছে। বাহিনীটির মধ্যে জবাবদিহিতা বাড়াতে আমাদের হয়ত আরও গভীরভাবে দৃষ্টি দিতে হবে।

পিটার হাস বলেন, র‍্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার অর্থ এই নয় যে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ আইন প্রয়োগকারীদের পর্যায়ে পারস্পরিক সহযোগিতা বন্ধ করে দেবে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ও সন্ত্রাসবাদ দমন, সীমান্ত নিরাপত্তা বৃদ্ধি এবং সহিংস চরমপন্থা প্রতিরোধে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করে যাবে বলে জানান পিটার হাস।

তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সব ক্ষেত্রে ত্রুটিহীন নয়। আমাদের দেশেও পুলিশের জবাবদিহিতা নিয়ে সমস্যাগুলো মোকাবিলা করার চেষ্টা চলছে। এ ধরনের অঙ্গীকারের জন্য আমরা বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোকেও আহ্বান জানাই।

রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্র নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রাখবে। নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্র কোনো পক্ষ নেবে না। বাংলাদেশের একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া আছে, যার মাধ্যমে জনগণ তাদের সরকারকে বেছে নিতে পারে।

Comments

The Daily Star  | English

Reforms, justice must come before election: Nahid

He also said, "This generation promises a new democratic constitution for Bangladesh."

2h ago