কুয়াকাটার হোটেল-মোটেলে আগাম বুকিং, করোনার ধকল কাটিয়ে ওঠার প্রত্যাশা
পবিত্র ঈদুল ফিতরের দীর্ঘ ছুটির কারণে এবার কুয়াকাটায় পর্যটন ব্যবসা জমজমাট হবে বলে করছেন ব্যবসায়ীরা। তাদের প্রত্যাশা এতে করোনাকালীন ক্ষতি পুষিয়ে উঠবেন তারা।
জানা গেছে, কুয়াকাটার ছোট-বড় ১৩০টি আবাসিক হোটেল-মোটেলের বেশিরভাগ রুম আগাম বুকিং হয়ে গেছে। এছাড়া, পর্যটন ব্যবসায়ীরা এবার ঈদে পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে প্রতিষ্ঠানগুলো সাজিয়েছেন বাহারি সাজে।
আগামী সোমবার অথবা মঙ্গলবার দেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। সাপ্তাহিক ছুটিসহ এবার ঈদে প্রায় ৯ দিনের দীর্ঘ ছুটি পাচ্ছেন সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীরা। দীর্ঘ ছুটির কারণে ভ্রমণ ও প্রকৃতিপ্রেমীরা বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে ছুটছেন। এক্ষেত্রে পর্যটকদের অন্যতম পছন্দের স্থান হচ্ছে কুয়াকাটা সৈকত। এখানে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখার সুযোগ আছে। আর সেই সৌন্দর্য উপভোগের জন্য পর্যটকরা আগাম বুকিং করেছেন।
এখানকার অন্যতম আবাসিক হোটেল শিকদার রিসোর্টের হিসাব রক্ষক মো. সাহিন জানান, তাদের এখানে ৬৮টি রুম ও ১১টি ভিলাজ আছে। এগুলোর সবই আগামী ৪ ও ৫ মে আগাম বুকিং হয়েছে। এছাড়া ঈদের পরবর্তী অন্যান্য দিনেও আছে আংশিক বুকিং। আশা করছি এবারের ঈদে কুয়াকাটায় কাঙ্ক্ষিত পর্যটকের সমাগম ঘটবে।
হোটেল খান প্যালাসের ম্যানেজার আব্দুস শাকুর জানান, তাদের হোটেলে ১৩০টি কক্ষ আছে এবং এসব কক্ষের ৮০ শতাংশই আগাম বুকিং হয়েছে। আশা করছি ঈদের আগেই বাকিগুলোও বুকিং হবে।
পর্যটন করপোরেশনের মালিকানাধীন মোটেল 'পর্যটন ইয়ুথ'র ম্যানেজার সাকিব রহমান জানান, তাদের এখানে ৭৬টি কক্ষ আছে। যার মধ্যে এসিযুক্ত ১৭টি রুমই আগাম বুকিং হয়েছে।
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও কুয়াকাটা গেস্ট হাউজের সত্ত্বাধিকারী মোতালেব শরীফ জানান, এবারের ঈদে কুয়াকাটার সবগুলো হোটেল-মোটেলে ব্যাপক পর্যটক আসবে বলে আশা করছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে পর্যটকদের পদভারে কুয়াকাটা মুখরিত হবে। এতে কিছুটা হলেও পর্যটন ব্যবসায়ীরা লোকসান কাটিয়ে ওঠার আশা করছেন।
ট্যুর অপারেটরস এসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার (টোয়াক) সভাপতি রুম্মান ইমতিয়াজ তুষার জানান, ঈদ উপলক্ষে এবার কুয়াকাটায় ব্যাপক পর্যটকের সমাগম ঘটবে বলে আমাদের প্রত্যাশা। এ কারণে পর্যটকদের বরণ করতে হোটেল-মোটেলগুলো সাজানো হয়েছে নানান সাজে। পর্যটন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যবসায়ীরাও এবারের ঈদে পর্যটকদের সেবায় নানা রকম প্রস্তুতি নিয়েছেন।
পর্যটকদের কুয়াকাটা ভ্রমণ আনন্দদায়ক ও নির্বিঘ্ন করতে পুলিশ প্রশাসনও নিরাপত্তামূলক নানা ব্যবস্থা নিয়েছে।
পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ শহীদুল্লাহ জানান, এবারের ঈদে পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে টুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি থানা পুলিশ ছাড়াও সাদা পোশাকে পুলিশের সদস্যরা নিয়োজিত থাকবেন। রাতেও পুলিশের বিশেষ টহল টিম কাজ করবে।
Comments