কিশোর নাফিসের আরও এক গিনেস রেকর্ড

ছবি: সংগৃহীত

ভারসাম্য বজায় রেখে হাতের তালুর উল্টোপিঠে ৩০ সেকেন্ডে ৬৫টি এবং এক মিনিটে ১০০টি পেন্সিল রেখে গিনেস বুক অব রেকর্ডসে নাম লিখিয়েছেন নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার স্কুল শিক্ষার্থী নাফিস ইসতে তওফিক অন্তু (১৫)।
  
নাফিস সৈয়দপুর পৌরসভার নীলকুঞ্জ আবাসিক এলাকার বাসিন্দা। তার বাবার নাম ইউনুছ আলী ও মায়ের নাম নাজমুন নাহার। সে সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র।

জানা গেছে, এর আগে ময়মনসিংহের ত্রিশালে অবস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মনিরুল ইসলাম ৩০ সেকেন্ডে হাতের তালুর উল্টোপিয়ে সর্ব্বোচ্চ ৫০টি পেন্সিল রেখে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম লিখিয়েছিলেন।

মনিরুল কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার কালিকাপ্রসাদ ইউনিয়নের নিরারচর গ্রামের জহিরুল ইসলামের পুত্র। মনিরুলের সেই রেকর্ডটি ভাঙলেন নাফিস।

গিনেস বুকে সদ্য নাম তোলা নাফিস জানিয়েছে, রেকর্ডের জন্য অনেক বিষয় থাকলেও তিনি এক মিনিট ও ৩০ সেকেন্ডে হাতের তালুর উল্টাপিঠে সর্ব্বোচ্চ পেন্সিল রাখার বিষয়টি বেছে নেন। সেই অনুযায়ী অনুশীলন শুরু করে আগের করা রেকর্ডটি ভাঙেন।

নাফিস বলেন, 'আমি চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি গিনেস বুকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এই বিষয়ে অংশ নেওয়ার জন্য আবেদন করি। ৫ মার্চ গিনেজ কর্তৃপক্ষ আমার আবেদনটি গ্রহণ করে অনুমতি প্রদান করে। এরপর আমার প্রচেষ্টার দুটি ভিডিও রেকর্ড পাঠানোর নির্দেশনা দেয়।'

'সে অনুযায়ী আমার রেকর্ড গড়ার প্রচেষ্টার দুটি ভিডিও ফুটেজ তাদের পাঠাই।গিনেজ কতৃপক্ষ ৩০ জুন ই-মেইলের মাধ্যমে আমাকে জানায়, রেকর্ড দুটি সফল হয়েছে। আমি এখন এই ক্যাটাগরিতে বিশ্ব রেকর্ড হোল্ডার', একনাগাড়ে বলেই চলেন নাফিস। 

আগামী কয়েক মাসের মধ্যে স্বীকৃতি পত্র পাঠানো হবে বলেও জানিয়েছে গিনেস কর্তৃপক্ষ। 

অন্তুর মা নাজমুন নাহার দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, তার ছেলে ছোটবেলা থেকেই নতুন কিছু করতে আগ্রহী। নতুন নতুন যন্ত্রপাতি কেনা ও সময় পেলেই সেগুলো নিয়ে বসা তার মজ্জাগত অভ্যাস। 

এবারই প্রথম নয়। ২০২১ সালে করোনা মহমারির দীর্ঘ ছুটিতে নাফিস আরও দুটো গিনেস রেকর্ড করেছেন। তার একটি হলো স্টাপলারের পিন দিয়ে দ্রুততম সময়ে শিকল তৈরি এবং ৭.১৬ সেকেন্ডে ১০টি মাস্ক পরা। 

Comments

The Daily Star  | English

Next nat'l polls: BNP urges CA, CEC to disclose what they discussed

Ensuring free and fair polls is now the main responsibility of EC and govt, he says

9m ago