এক মাজার থেকে হারিয়ে আরেক মাজারে উদ্ধার ৩ বছরের শিশু

চট্টগ্রাম
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

তিন বছরের শিশু সাদিয়ার বাবা মাদক মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন। বাবাকে অনেকদিন পর এক নজর দেখতে সুদূর টেকনাফ থেকে গত মঙ্গলবার মায়ের সঙ্গে চট্টগ্রাম আসে শিশুটি। শহরে অন্য কোথাও থাকার জায়গা না থাকায় মা আর মেয়ে রাতে আশ্রয় নেয় কোতোয়ালী থানাধীন জেলখানা রোডের শাহ আমানত মাজারে। কিন্তু সেখান থেকে মঙ্গলবার রাতে হারিয়ে যায় শিশু সাদিয়া।

পরে ৯৯৯ নম্বরে মায়ের ফোন পেয়ে নগরীর বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে এক কিলোমিটার দূরের আরেকটি মাজার থেকে গতকাল বুধবার বিকেলে শিশুটিকে উদ্ধার করে কোতোয়ালী থানা পুলিশ।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে মা ছেনুয়ারা বেগমের কোলে সাদিয়াকে তুলে দেয় কোতোয়ালী থানা পুলিশ।

ছেনুয়ারা বেগমের বাড়ি কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার পুরান পল্লান পাড়ায়।

কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ইয়াসিন দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, 'শিশুটির বাবা মোজাফফর কারাগারে বন্দি। মোজাফফরকে দেখতে স্ত্রী ছেনুয়ারা বেগম মেয়ে সাদিয়াকে নিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম আসেন। ক্লান্ত মা রাতে জেলখানা রোডের শাহ আমানত মাজারে ঘুমিয়ে পড়লে শিশুটি খেলতে খেলতে এক সময় মাজারের মূল গেটের বাইরে চলে যায়।'

'এক পর্যায়ে রাতে ঘুম ভেঙে মেয়েকে না পেয়ে তখনই জাতীয় জরুরি নম্বর ৯৯৯ এ ফোন দেন তিনি। তখন পুলিশ ওই মাজারে গেলেও আশেপাশে খোঁজাখুঁজি করে মেয়েটির হদিস পায়নি,' বলেন তিনি।

পরে পুলিশ আমানত শাহ মাজারের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে। ফুটেজে দেখা যায়, রাত পৌনে ২টার দিকে অন্য এক নারীর পেছনে পেছনে হেঁটে সাদিয়াকে মাজার থেকে বের হয়ে যাচ্ছে। রাত হওয়ায় তখন আশেপাশের ফুটেজ দেখা সম্ভব হয়নি।

পুলিশ কর্মকর্তা মো. ইয়াসিন জানান, পরে মেয়েটির মা থানায় নিখোঁজ ডায়রি করেন।

বুধবার সকালে পুলিশ রেলস্টেশন, বাস টার্মিনাল, নিউমার্কেট এলাকা এবং হাসপাতালে খোঁজাখুঁজি করে। পরে মূল সড়কের সিসিটিভির ফুটেজের সূত্র ধরে টেরিবাজার এলাকায় গিয়ে বদর শাহ মাজার থেকে শিশু সাদিয়াকে বুধবার বিকেলে উদ্ধার করা হয় বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।

মো. ইয়াসিন জানান, সাদিয়াকে উদ্ধার করে থানায় এক নারী কনস্টেবলের হেফাজতে রাখা হয়। পরে আজ সকালে ছেনুয়ারা বেগম থানায় এলে মেয়েকে তার কোলে তুলে দেওয়া হয়।

পুলিশ জানায়, ছেনুয়ারা নিজেও মাদক মামলার আসামি। ৩ বছর আগে তিনি জেলহাজতে ছিলেন। সে সময় তার আরেক মেয়ে হারিয়ে যায়, যার খোঁজ এখনো পাওয়া যায়নি।

Comments

The Daily Star  | English

Teknaf customs in limbo as 19 mt of rice, authorised by AA, reaches port

The consignment of rice weighing 19 metric tonnes arrived at Teknaf land port on Tuesday evening with the documents sealed and signed by the Arakan Army

56m ago