আ. লীগের আমলে সুচতুরভাবে দ্রব্যমূল্য বাড়ানো হয়: আবু সাঈদ স্বপন
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেছেন, আমাদের সরকারের আমলে সুচতুরভাবে দ্রব্যমূল্য বাড়ানো হয়। আমরা সেটি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেছি এবং করছি। মানুষের যেন কষ্ট না হয় সেজন্য মুদ্রাস্ফীতির হার সবসময় ধরে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। এই মুহূর্তে একটু সমস্যা হয়েছে আমরা অচিরেই তা নিয়ন্ত্রণ করব।
তিনি বলেন, 'অতি মুনাফা লোভীদের ষড়যন্ত্রের কারণেই দেশে নিত্য পণ্যের দাম বেড়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার এটি নিয়ে কাজ করছে এবং আশা করছি, খুব শিগগির সবকিছু মানুষের আয়ত্ত্বের মধ্যে চলে আসবে।'
আজ শনিবার ডেইলি স্টারের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
এক প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগের এই সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, 'আওয়ামী লীগ ব্যবসায়ীদের স্বার্থ দেখার জন্য দ্রব্যমূল্য বাড়ায় না। যারা এসব বলে তারা অলৌকিক ও অবাস্তবভাবে এসব বলছেন। এই সব দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।'
আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, 'বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি এবং চোরাচালান রোধে দেশে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।'
তাহলে কি আমাদের সীমান্ত রক্ষিত নয়? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'শুধু যে স্থল পথেই চোরাচালান হচ্ছে তা নয়। নৌপথেও অনেক চোরাচালান হচ্ছে। স্থলপথে পাচার রোধ করা সম্ভব হলেও নৌপথে তা রোধ করা একটু কঠিন।'
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক বিশৃঙ্খলার কারণেই কি ইউপি নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীর সংখ্যা বেশি না অন্য কোনো কারণ আছে এমন প্রশ্ন করলে জাতীয় সংসদের হুইপ স্বপন বলেন, 'মাঠে যখন সক্রিয় বিরোধী দল নেই, তখন আমরা যদি অন্যদের নির্বাচন না করতে দেই তখন তো বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অনেকে নির্বাচিত হবে। সেটা তো ভালো দেখায় না। তখন বিভিন্ন জন বিভিন্ন ইস্যু তুলবে। সব মিলে একটা সংকটাপন্ন অবস্থা চলছে। সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।'
তিনি আরও বলেন, 'যারা আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী হয়ে নির্বাচন করবেন তাদের আর কখনো দলীয় নমিনেশন দেওয়া হবে না এবং তারা দলের কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদ পাবেন না।'
বিএনপি নির্বাচনের মাঠে আছে দাবি করে তিনি বলেন, 'বিএনপি নির্বাচনের মাঠে নেই এটি ঠিক নয়। বিএনপির অনেকেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করছেন। বিএনপির অনেক নেতা মাঠ পর্যায়ে তাদের জন্য কাজ করছেন।'
তিনি আরও বলেন, 'আওয়ামী লীগের অন্য দল নিয়ে কোনো নেতিবাচক মনোভাব নেই। জনগণ পাশে না থাকলে আওয়ামী লীগ তাদের কাজ করতে দিচ্ছেন না, আওয়ামী লীগ বাধা দিচ্ছে এসব বলা একটা ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে। আমরা এসব নিয়ে কিছু ভাবছি না।'
Comments