‘আম টক’ তাই ১১৬ গাছ কাটলেন উপজেলা চেয়ারম্যান
বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ১১৬টি আম গাছ কেটে ফেলেছে উপজেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ। উপজেলা চেয়ারম্যান সামসুল আলম চুন্নু বলেছেন, 'এসব গাছের আম টক। কোনো কাজে লাগে না। তাই উপজেলার প্রয়োজনে এসব গাছ কাটা হয়েছে।'
বন বিভাগের অনুমতি ছাড়াই গত শুক্র ও শনিবার গোপনে গাছ কেটে ডালপালা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
ভবন নির্মাণের জন্য এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান।
উপজেলা পরিষদ সূত্রে জানা যায়, ৭ বছর আগে বরিশালের তৎকালীন জেলা প্রশাসক শহীদুল আলম প্রায় ২৫০টি আম গাছ রোপণ করে ওই বাগান গড়ে তোলেন। স্থানীয়ভাবে এ বাগানকে 'ডিসি বাগান' বলা হয়।
উপজেলা পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ আমিরুজ্জামান রিপন জানান, সাবেক জেলা প্রশাসক ৪ তলা ভবন নির্মাণের জন্য উপজেলা পরিষদের পিছনের জায়গা বেছে নিয়েছিলেন। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে আম গাছ কেটে সামনে ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
উপজেলা বন কর্মকতা মহিদুর রহমান জানান, 'গাছ কাটার জন্য বন বিভাগের অনুমতি নিতে হয়। তবে সেখানে আমাদের অনুমতি ছাড়াই গাছ কাটা হয়েছে।'
জানতে চাইলে উপজেলা চেয়ারম্যান সামসুল আলম চুন্নু দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গাছ লাগানো হয়েছে উপজেলা পরিষদের সামনে। ফলে ভবনটি দেখা যাচ্ছিল না, জঙ্গল হয়ে গিয়েছিল। ভবন আড়ালে চলে গিয়েছিল। এমন রাখা যৌক্তিক বিষয় নয়।'
বন বিভাগের অনুমতি না নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'যদি নিয়ম মেনে বন বিভাগের অনুমতি নেওয়া হতো, তাহলে ৪/৫ বছরেও অনুমতি পাওয়া যেত না।'
এটা পরিষদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে তিনি আরও বলেন, 'আমরা ভালো জাতের আরও বেশি গাছ লাগাব।'
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাধবী রায় ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমি ছুটিতে ছিলাম। ওই সময়ে তারা এ কাজ করেছেন।'
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন, বরিশালের বিভাগীয় সমন্বয়কারী রফিকুল আলম বলেন, 'উন্নয়নের নামে গাছ কাটা মোটেও সমর্থনযোগ্য নয়। অবশ্যই এ ঘটনায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।'
Comments