ধর্ষণ মামলায় ভিকটিমের চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন

সাক্ষ্য আইনে ৩ বিধান সংযোজন, ১ ধারা বাতিলের আহ্বান ব্লাস্টের

স্টার ফাইল ফটো

ধর্ষণ মামলায় ভিকটিমের চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলার সব পথ বন্ধে সাক্ষ্য আইনের তিনটি বিধান সংযোজন এবং আইনের একটি ধারা বাতিলে সরকারকে পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট)।

সংগঠনটি গত বছরের ১৭ নভেম্বর আইন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির কাছে লিখিতভাবে প্রস্তাব দেয় এবং ১০ মার্চ এ বিষয়ে আইন সংশোধনের জন্য সংসদে বিল আনার অনুরোধ জানায়।

প্রস্তাবে ব্লাস্ট জানায় যে ধর্ষণ মামলায় নারী ভিকটিমকে সাক্ষ্য আইনের কিছু বিধানের কারণে তার চরিত্র এবং যৌন অভিজ্ঞতা নিয়ে সবার সামনে আদালতে অবমাননাকর এবং অপ্রয়োজনীয় প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়।

এতে আরও বলা হয়, এসব কারণে ভুক্তভোগী ন্যায়বিচার পাওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনা যায় না এমনকি অপরাধ পুরোপুরি প্রমাণ করাও যায় না।

সাক্ষ্য আইনের ৫৩ (এ), ১৪৬ (৩) এবং ১৫০ (এ) ধারাগুলির প্রতিটিতে একটি উপধারা অন্তর্ভুক্ত করার এবং আইনের ধারা ১৫৫(৪) বাতিলের অনুরোধ করেছে ব্লাস্ট।

ব্লাস্টের উপপরিচালক (অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড কমিউনিকেশনস) মাহবুবা আক্তার আজ সোমবার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, তারা আবারো আইন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিকে তাদের পরামর্শ বিবেচনা করার জন্য এবং সংসদে আইনের প্রাসঙ্গিক সংশোধনী সংক্রান্ত একটি বিল উত্থাপন করার অনুরোধ করবেন।

যোগাযোগ করা হলে, আইন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান শহীদুজ্জামান সরকার এই প্রতিবেদককে বলেন, কমিটি এখনও ব্লাস্টের দেওয়া পরামর্শ বিশ্লেষণ করতে পারেনি।

'মন্ত্রিসভা ইতিমধ্যে সাক্ষ্য (সংশোধন) আইন ২০২২ নীতিগতভাবে অনুমোদন করেছে। আমরা যখন আনুষ্ঠানিকভাবে বৈঠকে বসব তখন আমরা ব্লাস্টের দেওয়া পরামর্শগুলি নিয়ে আলোচনা করব। যদি ব্লাস্টের পরামর্শ প্রাসঙ্গিক হয়, আমরা সেগুলো সংশোধনী বিলে অন্তর্ভুক্ত করব,' বলেন তিনি।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এর আগে ডেইলি স্টারকে বলেছিলেন, আদালতে ধর্ষণ মামলায় ভিকটিমের চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলা বন্ধে সরকার প্রমাণ আইন, ১৮৭২ এর ১৫৫(৪) এবং ১৬৪ (৩) উভয় ধারা সংশোধন করবে।

Comments

The Daily Star  | English
Reforms vs election

Reforms vs election: A distracting debate

Those who place the election above reforms undervalue the vital need for the latter.

16h ago