লক্ষ্মীপুরে জেলে-পুলিশ সংঘর্ষ, গুলিতে নিহত ১ আহত ১৬
লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরার সময় জেলে ও নৌ পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় আমীর হোসেন নামে এক জেলে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন।
আজ রোববার ভোররাতে সদর উপজেলার মজু চৌধুরীর হাট এলাকার মেঘনা নদীতে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আজ সকাল ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আমীর। তিনি ভোলা সদরের কুতুবপুরা এলাকার মতলব মিয়ার ছেলে।
এ ছাড়াও, এ ঘটনায় আরও ৬ পুলিশসহ ১৬ জন আহত হয়েছেন। আহতদের লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এ ঘটনায় ১০ জেলেকে আটক করেছে পুলিশ।
নৌ পুলিশ জানায়, জাটকা সংরক্ষণে ২ মাসের নিষেধাজ্ঞা চলছে। নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে শনিবার রাতে সদর উপজেলার মজু চৌধুরীর হাট এলাকায় নৌ পুলিশ অভিযান চালায়। রাত ১১টার দিকে টহল পুলিশ ঘটনাস্থল পৌঁছালে ৬ থেকে ৭টি মাছ ধরার জেলে নৌকা তাদের ঘিরে ফেলে। এ সময় ৫০ থেকে ৬০ জন জেলে পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।
তারা আরও জানায়, এ সময় তারা জালের কাঠি নিক্ষেপ করে পুলিশের উপর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলি চালায়। এতে আমীর হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন এবং পুলিশ সদস্য জহিরুল ইসলাম, মহসীন, আনোয়ার, মোবারক ও পুলিশের স্পীডবোটের চালকসহ ৬ জন আহত হন।
নৌ পুলিশের চাঁদপুর-লক্ষ্মীপুর অঞ্চলের এসপি কামরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, 'জেলেরা রাতের আঁধারে পুলিশের ওপর হামলা চালালে পুলিশ আত্মরক্ষার্থে ৩ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। নিহত জেলে কীভাবে মারা গেছেন তা আমি নিশ্চিত না। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে এ বিষয়ে নিশ্চিত করে বলা যাবে।'
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমীরের মাথায় শটগানের গুলির আঘাত ছিল।'
Comments