আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস

বাল্যবিয়ের অভিশাপ প্রকট করেছে মহামারি

শিক্ষক হতে চেয়েছিল সুলতানা (ছদ্ম নাম)। সেই লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য পড়াশোনা চালিয়ে আসছিল নিরলসভাবে। কিন্তু এখন সুলতানার মনে হচ্ছে, সে তার স্বপ্ন থেকে অনেক দূরে সরে গেছে।

করোনাভাইরাস মহামারির কারণে স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ার কয়েক মাসের মধ্যে মাত্র ১৬ বছর বয়সের সুলতানাকে বিয়ে দিয়ে দেয় তার পরিবার।

সুলতানা বলছিল, 'স্কুল আমার ভালো লাগত। আমি ভালো ছাত্রী ছিলাম। পড়তে ভালো লাগত। কিন্তু আমার বিয়ে হয়ে গেছে। যেহেতু আমি ছোট, তাই বাবা-মায়ের সঙ্গে পেরে উঠিনি। এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারিনি।

'আমি এখনো বিবাহিত জীবনে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি। আমাকে যা বলা হয়, আমি কেবল তাই করে যাওয়ার চেষ্টা করি। যাতে কোনো ঝামেলায় না পড়ি।'

সুলতানা সেই হাজারো শিশুদের একজন, গত দেড় বছরে যাদের স্বাধীন ভবিষ্যতের স্বপ্ন মুকুলেই ঝরে পড়েছে।

বৈশ্বিক গবেষণার তথ্য বলছে, মহামারিকালে সারা বিশ্বে সংঘটিত বাল্যবিয়ের সংখ্যা প্রায় ২৫ লাখ।

বিভিন্ন জেলা থেকে দ্য ডেইলি স্টারের সংগ্রহ করা তথ্য অনুসারে, গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে চলতি বছরের ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের অন্তত ১১ হাজার স্কুলশিক্ষার্থীকে বিয়ে দিয়েছে তাদের পরিবার।

বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন-২০১৭ অনুসারে এসব শিশু অপরাধের শিকার। যে আইন বলছে, বিয়ের জন্য মেয়েদের বয়স অন্তত ১৮ ও ছেলেদের বয়স অন্তত ২১ বছর হতে হবে।

গত ১২ সেপ্টেম্বর সারাদেশের স্কুলগুলো পুনরায় খোলার পর এই ভয়াবহ চিত্র প্রকাশিত হয়। প্রায় দেড় বছরের বিরতি শেষে শিক্ষকরা লক্ষ্য করেন, তাদের অনেক শিক্ষার্থী ক্লাসে ফেরত আসেনি।

মার্চে জাতিসংঘ শিশু তহবিল ইউনিসেফ 'কোভিড-১৯: অ্যা থ্রেট টু প্রোগ্রেস এগেইনস্ট চাইল্ড ম্যারেজ' শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। যেখানে সতর্ক করে বলা হয়, বিদ্যালয় বন্ধ থাকা, আর্থিক চাপ, সেবা কার্যক্রম ব্যাহত হওয়া, গর্ভাবস্থা ও মহামারির কারণে বাবা-মায়ের মৃত্যু সবচেয়ে দুর্বল মেয়েশিশুদের বাল্যবিয়ের ভয়াবহ ঝুঁকিতে ফেলে দিচ্ছে।

বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি টোমো হোযুমি বলেন, 'সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উল্ল্যেখযোগ্য অগ্রগতি সত্ত্বেও, বাল্যবিয়ের প্রাদুর্ভাবের ক্ষেত্রে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ। কোভিড-১৯ সমস্যাটিকে আরও জটিল করে তুলেছে। লাখ লাখ মেয়ে এর মুখোমুখি। বিদ্যালয় বন্ধ থাকা, বন্ধু ও সাপোর্ট নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া এবং দারিদ্র বেড়ে যাওয়ার মতো বিষয়গুলো এই মেয়েদের বাল্যবিয়ের উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে।' 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশ বাল্যবিয়ে রোধে যথেষ্ট অগ্রগতি অর্জন করলেও নীতিনির্ধারকরা হঠাৎ করে আসা মহামারির কবলে পড়ে অজান্তেই বাল্যবিয়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ক্ষেত্রে এর বিরূপ প্রভাব বুঝতে ব্যর্থ হয়েছেন।

তারা মনে করেন, মহামারিতে বাল্যবিয়ের শিকার হওয়া মেয়েরা যাতে স্কুলে ফিরে আসতে পারে, তার জন্য এখন সরকারের সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

ভীতি জাগানিয়া সংখ্যা

১৩ জেলার ৪১টি উপজেলা থেকে সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণ করে দ্য ডেইলি স্টার দেখেছে যে, স্কুল বন্ধ থাকার সময়ে প্রায় ১০ হাজার ৭৪১ মেয়েশিশু এবং অন্তত ২ কিশোর বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে। যদিও যথাযথভাবে জরিপ করা গেলে এই সংখ্যা অনেক বেশি হতে পারে।

খুলনা এমন একটি জেলা, যেখানে বিপুলসংখ্যক অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ের বিয়ে হয়েছে।

রূপসা উপজেলার বেলফুলিয়া ইসলামিয়া হাইস্কুল কর্তৃপক্ষের হিসাবে, লকডাউনের সময় তাদের স্কুলের ১৪ থেকে ১৭ বছর বয়সী অন্তত ৭০ শিক্ষার্থীর বিয়ে হয়েছে।

বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মো. মনিরুজ্জামান দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, শিক্ষার্থীদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাদের জানানো হয় যে, বিয়ে হয়ে যাওয়া মেয়েরা আর পড়াশোনা করবে না।

মনিরুজ্জামান বলেন, 'আসলে এই বিয়েগুলো হয়েছে গোপনে। আমি এখনও নতুন নতুন বিয়ের খবর পাচ্ছি। আমি ওই শিক্ষার্থীদের স্কুলে ফিরিয়ে আনার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।'

খুলনা জেলা শিক্ষা অফিসের হিসাবে মহামারির মধ্যে ৪২০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ১২৫টি মাদরাসার প্রায় ৩ হাজার শিক্ষার্থী বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে।

ডেইলি স্টারের সঙ্গে আলাপকালে এমন এক শিক্ষার্থীর বাবা বলেন, 'মহামারিতে চাকরি হারানোর কারণে আমার পক্ষে আর মেয়ের পড়াশোনার খরচ চালিয়ে নেওয়া সম্ভব ছিল না।'

খুলনার পাশের জেলা বাগেরহাটে এই সংখ্যা আরও বেশি।

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামানের তৈরি প্রতিবেদন অনুসারে, মহামারিকালে স্কুল বন্ধ থাকার মধ্যে জেলায় সংঘটিত বাল্যবিয়ের সংখ্যা ৩ হাজার ১৭৮টি।

সাতক্ষীরার শিক্ষা কর্মকর্তা জানান, মহামারির মধ্যে তারা ৫০০ বাল্যবিয়ের খবর জানতে পেরেছেন। তবে অন্য সূত্রের হিসাবে, এই সংখ্যা ৫ হাজার পর্যন্ত হতে পারে।

জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় এমন প্রায় ১৭৭টি বিদ্যালয় আছে, যার শিক্ষার্থীরা বাল্যবিয়ের শিকার।

মোজাহের মেমোরিয়াল হাই স্কুলের শিক্ষক শম্পা গোস্বামী বলেন, 'আমার স্কুলের দশম শ্রেণির অন্তত ২৫ শিক্ষার্থীর বিয়ে হয়ে গেছে।'

বাল্যবিয়ে রোধে কাজ করা বেসরকারি সংস্থা প্রেরণা নারী উন্নয়ন সংস্থার পক্ষে শম্পা গোস্বামী ৩৫টি স্কুলে একটা জরিপ চালিয়েছিলেন। তিনি দেখতে পারেন, প্রতিটি স্কুলের অন্তত ২০ থেকে ৩০ জন করে শিক্ষার্থীর বিয়ে হয়েছে।

এ ছাড়া বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আলীপুর গার্লস স্কুলের অন্তত ৫০ শিক্ষার্থী।

সাতক্ষীরার বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কমিটির প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাকিবুর রহমান বাবলা জানান, তাদের তালিকা অনুসারে জেলায় ৩ হাজারের বেশি শিশুকে অবৈধভাবে বিয়ে দেওয়া হয়েছে।

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকিতে থাকা নারী-শিশুদের নিয়ে কাজ করা গবেষক শারমিন নিলোর্মীর ভাষ্য, ভিকটিমদের মধ্যে অনেকের বসবাস দক্ষিণাঞ্চলের জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ জেলাগুলোতে। ওই এলাকাগুলোতে অনেক নিঃস্ব মানুষ আছে এবং দারিদ্র্য ও বাল্যবিয়ের মধ্যে সম্পর্কটা গভীর।

এই গবেষক বলেন, 'কিন্তু সব অঞ্চলের চিত্র একই রকম না। তাই বাল্যবিয়ে হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার পেছনের কারণগুলো বোঝার জন্য আরও গবেষণা দরকার… গত কয়েক বছরে সরকার মেয়েদের শিক্ষার পেছনে অনেক বিনিয়োগ করেছে। সুতরাং বাল্যবিয়ে রোধে সঠিক নীতি গ্রহণের জন্য এর মূল কারণগুলো খুঁজে বের করা দরকার।'

দক্ষিণের জেলাগুলোর পাশাপাশি টাঙ্গাইলেও বাল্যবিয়ের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা গেছে। জেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের তথ্য অনুসারে, মহামারির মধ্যে জেলার ১২ উপজেলায় দুই কিশোরসহ ১ হাজার ২৪২ শিক্ষার্থী বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে।

মির্জাপুরের গেড়ামারা গোহাইল বাড়ি সবুজ সেনা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক ফিরোজ আল মামুন বলেন, 'স্কুল বন্ধ থাকার কারণে আমরা এ ব্যাপারে জানতে পারিনি। আর বিষয়টি পর্যবেক্ষণের জন্য কোনো নির্দেশনাও ছিল না।' তার বিদ্যালয়ের অন্তত ৪১ শিক্ষার্থীর বিয়ে হওয়ার ব্যাপারটি নিশ্চিত করেন তিনি।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিয়ে হয়েছে ৪৩৯ শিক্ষার্থীর। দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায় এই সংখ্যা ৪১৭।

পাবনার একটি স্কুলের অন্তত ২৯ এবং নারায়ণগঞ্জের একটি স্কুলের ৩১ শিক্ষার্থীর বিয়ের খবর পাওয়া গেছে।

এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট শিক্ষা কর্মকর্তাদের হিসাবে মুন্সিগঞ্জে ৩৫, বরিশালে ১৭৮, রাজশাহীতে ৭ শ'র মতো, ময়মনসিংহে ৪৫, কুড়িগ্রাম ও নাটোরে ৫০০ করে শিক্ষার্থীর বিয়ে হয়েছে। শিক্ষা কর্মকর্তাদের ভাষ্য, এই সংখ্যা আরও অনেক বেশি হতে পারে।

কুড়িগ্রাম ও পাবনার দুইটি স্কুলে একটা ক্লাসের এক শিক্ষার্থী বাদে বাকি সব মেয়ের বিয়ে হয়েছে কোভিডকালেই।

পাবনার জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোসলেম উদ্দীন বলেন, 'স্কুল বন্ধের আগে দশম শ্রেণিতে ৩০ শিক্ষার্থী ছিল। চলতি বছর তাদের এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এদের ২৯ জনেরই বিয়ে হয়ে গেছে।'

টাঙ্গাইলের একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক শামীম আল মামুন বলেন, 'অনেক সময় শিক্ষকরা এই ধরনের বিয়ে বন্ধ করার ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে। কিন্তু স্কুল বন্ধের সময় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে যোগাযোগের ক্ষেত্রে দীর্ঘ বিরতির কারণে আমরা তেমন কিছু করতে পারিনি।'

আইনের ফাঁক

জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সালমা আলী বলছেন, 'বাল্যবিয়ে রোধে আমাদের নির্দিষ্ট আইন (বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন-২০১৭) আছে। কিন্তু এর কোনো কঠোর প্রয়োগ নেই। এমনকি এ ব্যাপারে সরকারের কোনো কার্যকর পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থাও নেই।'

বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের ৯ নম্বর ধারায় বলা আছে, যদি কোনো ব্যক্তি বাল্যবিয়ে করে বা পরিচালনা করে তাহলে তা এমন একটি অপরাধ হবে, যার জন্য তাদের সর্বোচ্চ দুই বছরের এবং সর্বনিন্ম ছয় মাসের কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা কিংবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে।

এ ছাড়া আইনে জরিমানার টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হলে কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। যা তিন মাস পর্যন্ত বর্ধিত হতে পারে।

এসব বিয়ের খুব কমই কাজি অফিসে হয়। আইনের ভাষায়, কাজিরা হচ্ছেন সরকার নিযুক্ত 'নিকাহ রেজিস্ট্রার'।

মগবাজার কাজি অফিসের কাজি সেলিম রেজা দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, সরকার একটি আইন প্রণয়ন করলেও প্রয়োগের অভাব থাকায় অনেক কাজি তা উপেক্ষা করেন।

তিনি বলেন, 'বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বাবা-মায়েরা তাদের সন্তানের বিয়ের জন্য নোটারি পাবলিক থেকে জাল জন্মসনদ নিয়ে আসেন। এ জন্য তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।'

সাস্থ্যঝুঁকি

ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অব রিসার্চ অন ওমেন (আইসিআরডব্লিউ)- এর তথ্য অনুসারে, নিচের স্তরের শিক্ষায় শিক্ষিত বিবাহিত শিশুদের ক্ষেত্রে গার্হস্থ্য অথবা যৌন সহিংসতার ঝুঁকি বেশি থাকে। যার দীর্ঘস্থায়ী মানসিক প্রভাব থাকতে পারে।

বেশিরভাগ মেয়েশিশু বয়স্ক পুরুষের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার কারণে ক্ষমতার ভারসাম্যহীনতা তৈরি হয়। তাই তাদের প্রথম যৌন অভিজ্ঞতা হয় 'জোরপূর্বক'।

ইউনিসেফের প্রতিবেদন বলছে, বাল্যবিয়ে আগাম ও অপরিকল্পিত গর্ভধারণের ঝুঁকি বাড়ায়। যা পরবর্তীতে গর্ভধারিনীর জটিলতা ও মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।

মনোবিজ্ঞানী ডা. এন্ড্রু রোজারিও বলেন, '১৪ থেকে ১৮ বয়সী শিশুরা শারিরীক ও মানসিকসহ নানা পরিবর্তনের ভেতর দিয়ে যায়। বিয়ের সঙ্গে যে দায়িত্ব কাঁধে চাপে তার জন্য তাদের শরীর ও মন তৈরি থাকে না।'

'এ ক্ষেত্রে কোনো শিশুর বিয়ে হলে প্রথমেই তার শরীর ও মন বিভ্রান্তির মুখে পড়ে। তাদের এমন চাপের মুখোমুখি হতে হয়, এমন কাজ করতে হয়, যার জন্য তারা কোনোভাবেই তৈরি থাকে না। যার ফলে তাদের দীর্ঘমেয়াদী মানসিক ও শরীরবৃত্তীয় ট্রমার ভেতর দিয়ে যেতে হয়।'

ইউএনএফপিএ, ইউনিসেফ ও প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের সহযোগিতায় ২০২০ সালে মানুষের জন্য ফাউণ্ডেশনের করা এক জরিপ অনুসারে, ওই বছর ২১ জেলার ৮৪টি উপজেলার ১৩ হাজার ৮৮৬ মেয়েশিশু বাল্যবিয়ের শিকার হয়।

তবে বিষয়টি এখন আরও গুরুতর।

প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের ডিরেক্টর অব গার্লস রাইটস কাশফিয়া ফিরোজ বলেন, 'কোভিড-১৯ মহামারির বিষয়ে আগাম কোনো ধারণা ছিল না। সুতরাং সরকার এর জন্য (মহামারিতে বাল্যবিয়ে) কোনো প্রস্তুতি নেয়নি।

'আমাদের এখন বাল্যবিয়ে প্রতিরোধের আরও উপায় ভাবতে হবে। ভুক্তভোগীদের স্কুলে ফিরিয়ে আনতে হবে।'

 

(প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন দ্য ডেইলি স্টারের টাঙ্গাইল, লালমনিরহাট, খুলনা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, বাগেরহাট, দিনাজপুর, পাবনা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, বরিশাল, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও নাটোর সংবাদদাতা।)

অনুবাদ করেছেন মামুনুর রশীদ

Comments

The Daily Star  | English

Time to build the country after overcoming dictatorship: Tarique

Highlights need to build skilled generations across all sectors

1h ago