বরগুনায় বঙ্গোপসাগরে ১০ ট্রলারে ডাকাতির অভিযোগ, ৪ জেলে আহত
বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যাওয়া বরগুনার ১০টি ট্রলার থেকে প্রায় কোটি টাকার মাছ ডাকাতি হয়েছে বলে ফিরে আসা জেলেরা অভিযোগ করেছেন।
আজ শুক্রবার দুপুরে পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে এসে জেলেরা জানান, পাথরঘাটা থেকে ৯০ কিলোমিটার পূর্বে বঙ্গোপসাগরে বৃহস্পতিবার রাত ১১টার পর থেকে সশস্ত্র ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
ডাকাতদের হামলায় আহত ৪ জেলেকে পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
জেলেদের বরাত বরগুনা ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তাক চৌধুরী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মাছ ধরে ফিরে আসার সময় ৩০-৩৫ জনের সশস্ত্র ডাকাত দল ১০টি ট্রলারে ডাকাতি চালায়। এ সময় প্রায় ১ কোটি টাকার মাছ, ট্রলারের মূল্যবান যন্ত্রাংশ, মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন সামগ্রী লুট করে নিয়ে যায়।'
জেলেরা ডাকাতিতে বাধা দিলে তাদের মারধর করা হয় বলে জানান তিনি।
এসব ট্রলারের মধ্যে পাথরঘাটার দুটি ট্রলারের নাম পাওয়া গেছে। ট্রলার দুটি হলো-এফবি জুনায়েদ ও এফবি শাহ মোহছেন আউলিয়া-৩।
এফবি জুনায়েদ ট্রলারের মাঝি শাহজাহান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'অস্ত্রধারী ডাকাত দল ট্রলারে উঠে জেলেদের জিম্মি করে ট্রলারে থাকা ৮ লাখ টাকার মাছ ও ট্রলারে যন্ত্রাংশ নিয়ে যায়।'
সাগরে গতরাতে প্রায় ১০টি ট্রলারে ডাকাতির ঘটনা ঘটে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, 'ফিরে যাওয়ার সময় ডাকাতরা ট্রলারের ইঞ্জিন ভেঙে বিকল করে রেখে চলে যায়। এতে বাধা দিলে কয়েকজন জেলেদের পিটিয়ে আহত করে তারা।'
'আহত জেলেদের মধ্যে মিরাজ, খোকন, মন্টু ও শাহজাহানকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে,' বলেন তিনি।
এফবি শাহ মোহছেন আউলিয়া-৩ ট্রলারের মালিক আলম মোল্লা বলেন, 'আমার ট্রলারে অস্ত্রধারী ডাকাতরা ডাকাতি করে অন্তত ১২ লাখ টাকার মাছ লুট করে। এ সময় মাঝি হোসেনসহ জেলেরা বাধা দিলে হোসেন মাঝিকে কুপিয়ে জখম করে ডাকাতরা। তিনি মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছে বলে সাগর থেকে জেলেরা জানিয়েছেন।'
ট্রলারটি এখনো ঘাটে এসে পৌঁছায়নি বলে জানান তিনি।
জানতে চাইলে কোস্টগার্ড (দক্ষিণ জোন) স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট মোমিন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা এখনো ডাকাতির খবর পাইনি। জেলেদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।'
Comments