প্রধানমন্ত্রীর সই জালিয়াতি: এনএসইউ কোষাধ্যক্ষসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ

ছবি: সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রীর সই নকল করে নথি জালিয়াতির অভিযোগে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (এনএসইউ) কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ শাহজাহানসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন ঢাকার একটি আদালত।

ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক কে এম এমরুল কায়েশ মামলার ডকেট ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক নথিপত্র যাচাই-বাছাই করে অভিযোগপত্র আমলে নেন।

অপর অভিযুক্তরা হলেন-বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) সাবেক কোষাধ্যক্ষ এয়ার কমোডর (অব.) রবিউল আউয়াল, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি তরিকুল ইসলাম মমিন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মী ফাতেমা খাতুন, নাজিম উদ্দিন, মোহাম্মাদ রুবেল, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফরহাদ হোসেন ও বিইউপির সাবেক কোষাধ্যক্ষ এয়ার কমোডোর (অব.) এম আবদুস সালাম আজাদ।

তাদের মধ্যে রবিউল ও আজাদ পলাতক আছেন। চার্জশিটে এই দুজনকে পলাতক দেখানোয় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে বলে আদালত সূত্র দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছে।

বিচারক তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ৩১ আগস্টের মধ্যে পলাতক দুই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

এর আগে চলতি বছরের ১৮ মে দুদকের উপপরিচালক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।

২০২০ সালের ৫ মে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক-৭ মোহাম্মদ রফিকুল আলম তেজগাঁও থানায় এ মামলা করেন।

মামলায় বলা হয়, এনএসইউর কোষাধ্যক্ষ পদের জন্য ৩ জনের নাম উল্লেখ করা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি নথি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে চুরি হয়। ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে ছাত্রলীগ নেতা তরিকুলের নির্দেশে কার্যালয় কর্মী ফাতেমা নথিটি চুরি করেন।

চার্জশিটে বলা হয়, কে কোষাধ্যক্ষ হবেন সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে ভুলভাবে উপস্থাপন করে একটি জাল নথি অনুমোদনের জন্য ৩ মার্চ রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়।

তদন্তকালে ফাতেমা খাতুন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

এর আগে ১৩ জুন হাইকোর্ট বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সই জাল করা একটি জঘন্য অপরাধ এবং এ ধরনের ঘটনায় জড়িতদের প্রতি নরম আচরণের সুযোগ নেই।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নথি জাল করার অভিযোগে করা মামলায় গ্রেপ্তার ফাতেমা খাতুনের জামিন আবেদনের বিষয়ে রুল নিষ্পত্তিকালে হাইকোর্ট এ পর্যবেক্ষণ দিয়েছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

17h ago