পি কে হালদার ভারতীয় প্রভাবশালীদের সহায়তায় ছিলেন কি না খতিয়ে দেখছে ইডি

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের অশোকনগরে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য পি কে হালদার সেখানকার স্থানীয় প্রভাবশালীদের সহায়তা নিয়েছিলেন কি না, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখছে ভারতের ডিরেক্টরেট অব এনফোর্সমেন্ট (ইডি)।

গত শনিবার দুপুরে পশ্চিমবঙ্গের আশোকনগর থেকে পি কে হালদার, তার আইনজীবী সুকুমার মৃধাসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে ইডি।

ইডির পক্ষ থেকে বলা হয়, 'জাল নথিরভিত্তিতে ভারতীয় পাসপোর্ট ও অন্যান্য পরিচয়পত্র তৈরি করতে পি কে হালদার ও তার সহযোগীরা রাজ্যের কোনো প্রভাবশালী ব্যক্তির কাছ থেকে সহায়তা পেয়েছিলেন কি না, তা আমরা তদন্ত করে দেখছি। স্থানীয়দের সম্পৃক্ততা ছাড়া এটা সম্ভব নয়।'

সংস্থাটি আরও জানায়, 'তিনি যেহেতু ভারতেও কিছু প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছেন, সেহেতু কোনো প্রভাবশালী ব্যক্তি বা অন্য কোনো রুটের মাধ্যমে অর্থ পাচার করা হয়েছিল কি না, সেটিও আমরা খতিয়ে দেখব।'

গ্রেপ্তারের পর থেকে পি কে হালদার ও তার সহযোগীরা ইডি হেফাজতে রয়েছেন।

রিলায়েন্স ফাইন্যান্স ও এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক পি কে হালদার পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগণার অশোকনগরে 'শিবশঙ্কর হালদার' পরিচয়ে বসবাস করছিলেন। এজন্য তিনি পশ্চিমবঙ্গ থেকে রেশন কার্ড, ভারতীয় ভোটার আইডি কার্ড, স্থায়ী অ্যাকাউন্ট নম্বর ও আধার কার্ডের মতো বিভিন্ন সরকারি পরিচয়পত্র সংগ্রহ করেন। তিনি তার পাচার করা টাকা দিয়ে কলকাতার অভিজাত এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় কিনেছেন স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি।

ইডি কর্মকর্তারা জানান, 'সুকুমার মৃধা একজন মাছ ব্যবসায়ী ছিলেন। স্থানীয়ভাবে সব জায়গায় তার ভালো যোগাযোগ ছিল। তার মেয়ে ও মেয়ের জামাই পি কে হালদারকে অনেক সহযোগিতা করেছে। আমরা জানতে পেরেছি যে তাদের অ্যাকাউন্টেও অর্থ পাঠানো হয়েছে।'

গত শুক্রবার অশোক নগর শহরে সুকুমার মৃধা ও তার মেয়ের জামাইয়ের বাড়িতে অভিযোন চালায় ইডি। তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাদের ৩টি বাড়ি থেকে বেশকিছু নথি উদ্ধার করা হয়েছে।

সূত্র জানায়, অশোক নগর-কল্যাণগড় পৌর শহরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের মানিক নগর এলাকায় ৪ বিঘা জমির ওপর অবস্থিত সুকুমার মৃধার বাড়িটি সিলগালা করেছে ইডি।

তারা অশোক নগরের বিল্ডিং মোড় এলাকায় সুকুমারের মালিকানাধীন অপর একটি বাড়িতেও অভিযান চালায়।

Comments

The Daily Star  | English
health reform

Priorities for Bangladesh’s health sector

Crucial steps are needed in the health sector for lasting change.

17h ago