পি কে হালদারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ আদালতের

কানাডায় ৮০ কোটি টাকা পাচার এবং অবৈধভাবে প্রায় ৪২৬ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পিকে হালদার) ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেছেন আদালত।
পি কে হালদার
পি কে হালদার। ছবি: সংগৃহীত

কানাডায় ৮০ কোটি টাকা পাচার এবং অবৈধভাবে প্রায় ৪২৬ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পিকে হালদার) ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেছেন আদালত।

ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক কে এম এমরুল কায়েশ মামলার নথিপত্র যাচাই-বাছাই শেষে এ আদেশ দেন।

অভিযোগপত্রে 'পলাতক' উল্লেখ করায় পি কে হালদারসহ মোট ৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

এছাড়া আসামিদের বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বাস্তবায়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন ২৫ মের মধ্যে জমা দিতে বিভিন্ন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা বাকি ৭ জন হলেন-পি কে হালদারের মা লীলাবতী হালদার, ভাই প্রীতিশ কুমার হালদার, পূর্ণিমা রানী হালদার, অমিতাভ অধিকারী, রাজীব সোম, সুব্রত দাস এবং অনঙ্গ মোহন রায়।

চার্জশিটে নাম থাকা সুকুমার মৃধা, তার মেয়ে অনিন্দিতা মৃধা, অবন্তিকা বড়াল, শঙ্খ বেপারী, উত্তম কুমার মিস্ত্রি ও স্বপন কুমার মিস্ত্রিকে আগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং তারা এখন এ মামলায় কারাগারে আছেন।

গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে সুকুমার, শঙ্খ ও অনিন্দিতা বিভিন্ন সময় ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দুদকের উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দিন গত ১০ ফেব্রুয়ারি পি কে হালদারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে ৫৬ পৃষ্ঠার চার্জশিট দাখিল করেন।

পি কে হালদারকে অপর ১৩ জন অবৈধ সম্পদ অর্জনে সহায়তা করেছেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, পালিয়ে কানাডা যাওয়া পি কে হালদার অবৈধ উপায়ে তার নামে এবং বিভিন্ন আসল ও ভুয়া কোম্পানি ও ব্যক্তির নামে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন।

প্রায় ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি দুদক মামলাটি করে।

Comments

The Daily Star  | English

S Alam’s tax file shows no foreign income

S Alam Group owner Mohammed Saiful Alam’s 2022-2023 tax file is a puzzle. In that tax year, he declared personal assets worth Tk 2,532 crore, but did not show any personal bank loans from Bangladesh or his foreign income.

4h ago