পরীমনির মামলায় নাসিরসহ ৩ জনের বিচার শুরু
ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে চলচ্চিত্র নায়িকা পরীমনির দায়ের করা মামলায় উত্তর ক্লাব লিমিটেডের সাবেক প্রেসিডেন্ট, রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী এবং জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য নাসির ইউ মাহমুদসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।
আজ বুধবার সকালে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এর বিচার মো. হেমায়েত উদ্দিন অভিযোগ গঠন করেন এবং সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১ আগস্ট পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেন।
এই মামলার বাকি আসামিরা হলেন—নাসিরের ২ সহযোগী তুহিন সিদ্দিকী অমি ও শাহ শহীদুল আলম। তারা ৩ জনই বর্তমানে জামিনে আছেন।
আদালত অভিযোগ পড়ে শোনালে তারা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। এর আগে মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে আসামিদের করা পৃথক আবেদন খারিজ করে দেন ট্রাইব্যুনাল।
গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ কামাল হোসেন ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছিলেন।
এতে উত্তরা ক্লাব লিমিটেডের সাবেক সভাপতি নাসির ইউ মাহমুদ ও তার সহযোগী তুহিন সিদ্দিকী অমিসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। প্রাথমিক তথ্য বিবরণীতে (এফআইআর) শাহ শহীদুল আলমের নাম না থাকলেও তদন্তের সময় সম্পৃক্ততা পাওয়ায় পুলিশ অভিযোগপত্রে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করে।
সে সময় তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) মাধ্যমে পুনর্তদন্তের আবেদন জানান পরীমনি।
তার আবেদনপত্রে উল্লেখ করা হয়, তদন্তকারী কর্মকর্তা সঠিক ও সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করেননি। ওই হোটেলের একজন ওয়েটার ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে অভিযুক্ত ছিল। ঘটনার পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তাকে তুলে আনে এবং তিনি তার অপরাধ স্বীকার করেন। পুলিশের জমা দেওয়া অভিপত্রে তাকে আসামি করা হয়নি। এমনকি তার নামই অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়নি। বাদীপক্ষের সাক্ষী বহ্নির নাম অভিযোগপত্রে রাখা হয়নি এবং তাকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদও করেনি। যে কারণে এই মামলার পুনর্তদন্ত হওয়ার প্রয়োজন।
গত বছরের ১৪ জুন ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে চলচ্চিত্র নায়িকা পরীমনি নাসির, অমি ও অজ্ঞাতপরিচয় ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ওই দিনই পুলিশের গোয়েন্দা শাখার একটি দল উত্তরা ১ নম্বর সেক্টরের বাসা থেকে নাসির ও অমিকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকালে বিদেশি মদ এবং এক হাজার পিস ইয়াবা পাওয়া যাওয়ায় ডিবির উপপরিদর্শক মানিক কুমার শিকদার বাদী হয়ে রাজধানীর বিমানবন্দর থানায় ৫ জনের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেন।
Comments