পটুয়াখালী 

পরাজিত ইউপি সদস্য প্রার্থীর থানায় হামলা, ৩ পুলিশসহ আহত ১৮

পটুয়াখালীর মহিপুরে ভাইয়ের মুক্তির দাবিতে থানা ঘেরাও করে হামলা করেন গত বুধবারের নির্বাচনে পরাজিত ইউপি সদস্য প্রার্থী ও তার সমর্থকরা। এ সময় বিক্ষুব্ধদের হামলায় ৩ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে।
হামলায় আহত পুলিশ সদস্যকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত

পটুয়াখালীর মহিপুরে ভাইয়ের মুক্তির দাবিতে থানা ঘেরাও করে হামলা করেন গত বুধবারের নির্বাচনে পরাজিত ইউপি সদস্য প্রার্থী ও তার সমর্থকরা। এ সময় বিক্ষুব্ধদের হামলায় ৩ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে।

আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটায় কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর থানা ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গত বুধবার ইউপি নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর লতাচাপলী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের পরাজিত সদস্য প্রার্থী জলিল ঘরামী ও তার ভাই খলিল ঘরামী এলাকার মানুষকে মারধরসহ বিভিন্ন হুমকি দেন।

এ ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে স্থানীয় কবির মোল্লার স্ত্রী শিউলী বেগম বাদী হয়ে খলিল ঘরামীসহ কয়েকজনের নামে মামলা করেন। মামলার পর পুলিশ দুপুর ৩টার দিকে খলিলকে গ্রেপ্তার করে মহিপুর থানায় নিয়ে যায়।

পরে জলিল ঘরামি প্রায় ৪০০ সমর্থক নিয়ে ভাইয়ের মুক্তির দাবিতে থানা ঘেরাও করে এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে বলে জানায় পুলিশ।

পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করলে মহিপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হালিম, কনস্টেবল ওবায়দুল ও মিলন আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ সময় আরও প্রায় ১৫ জন আহত হন।

এ ঘটনায় পরাজিত ইউপি সদস্য প্রার্থী জলিল ঘরামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ওসি আবুল খায়ের বলেন, 'যারা থানা ঘেরাও করতে এসেছিল তাদের বারবার সরে যেতে বলা হয়েছে। কিন্তু তারা পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছে। এতে আমাদের থানার এসআই হালিম ও ২ কনস্টেবল গুরুতর আহত হয়েছেন।

'তবে বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রনে আছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে,' বলেন তিনি।

Comments