প্রভাবশালীদের বিরাগভাজনের কারণেই কি শরীফকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে?: টিআইবি

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপসহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিনের চাকরিচ্যুত হওয়া নিয়ে সৃষ্ট ধোঁয়াশা দূর করার আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে টিআইবি এই দাবি জানায়। 

বিজ্ঞপ্তিতে টিআইবি বলেছে, 'গণমাধ্যম থেকে পাওয়া সংবাদ অনুযায়ী দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপসহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিনকে সম্প্রতিকালে চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে। এ নিয়ে সংস্থার ভেতরে ও বাইরে বেশ নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। এই চাকরিচ্যুতির প্রতিবাদে দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে দুদকের কর্মীদের অংশগ্রহণে মানববন্ধনের মতো ঘটনাও ঘটেছে। যা যেমন অভূতপূর্ব, তেমনি উদ্বেগজনক।'

আরও বলা হয়, 'শরীফ উদ্দিন চট্টগ্রামে কর্মরত অবস্থায় দক্ষতা ও সাহসের সঙ্গে কক্সবাজারে ভূমি অধিগ্রহণে বিশাল অঙ্কের দুর্নীতি, রোহিঙ্গা নাগরিকদের এনআইডি ও পাসপোর্ট জালিয়াতি, কর্ণফুলী গ্যাসে অনিয়মসহ বেশ কিছু আলোচিত দুর্নীতিবিরোধী অভিযান ও মামলা পরিচালনায় মূল ভূমিকায় জড়িত ছিলেন। এসব অভিযান ও মামলায় সংশ্লিষ্ট প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের মধ্যে যাদের বিরাগভাজন হচ্ছিলেন এই কর্মকর্তা, তাদের চাপের কারণেই কি শরিফ উদ্দিনকে চট্টগ্রাম থেকে পটুয়াখালি বদলি করা এবং সবশেষ চাকরিচ্যুত করা হয়েছে এমন প্রশ্ন স্বাভাবিকভাবেই উঠেছে।'

একইসঙ্গে, দুদকের চাকরিবিধি অনুযায়ী কোনো কর্মীকে অপসারণের এক্তিয়ার দুদকের হাতে থাকতেই পারে, কিন্তু দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণের মতো জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন দক্ষ ও সাহসী কর্মকর্তার সুরক্ষা নিশ্চিতের পরিবর্তে কেনো এভাবে অপসারণের পথ বেছে নিতে হলো। তা দুদকের কাছ থেকে জানার অধিকার জনগণের রয়েছে বলে মনে করছে টিআইবি।    

এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট সব বিষয়ে দুদকের অবস্থান পরিষ্কার করার জন্য দুদকের প্রতি আহ্বান জানিয়ে টিআইবি বলেছে, জনমনে তৈরি হওয়া এসব প্রশ্নের সদুত্তর দিতে ব্যর্থ হলে দুর্নীতি দমনে কাজ করা সংস্থাটির বিশ্বাসযোগ্যতা গভীরতর সংকটের মুখে পড়বে বলে মনে করে টিআইবি। তেমনি, দুর্নীতি দমনে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করা সৎ ও সাহসী কর্মকর্তারা উদ্যম হারিয়ে ফেলবেন, যা দুদকের প্রাতিষ্ঠানিক অবস্থানকেই দুর্বল করে ফেলবে, যেটি কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। দুদক নেতৃত্ব এ বিষয়ে নিজেদের প্রজ্ঞার পরিচয় দিয়ে সৃষ্ট ধোঁয়াশা দূর করবেন এমনটাই প্রত্যাশা করে টিআইবি।

 

Comments

The Daily Star  | English

Consensus commission: Talks stall over women’s seats, upper house

The National Consensus Commission proposed establishing an upper house comprising elected representatives from each district and city corporation, and suggested abolishing the current system of reserved seats for women in parliament.

3h ago