ট্রাফিক সার্জেন্টের ওপর হামলার মামলার আসামিকে হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ

জুরাইনে ট্রাফিক সার্জেন্টের ওপর হামলা করেন স্থানীয়রা। ছবি: ভিডিও ফুটেজ থেকে

ঢাকার জুরাইনে ট্রাফিক সার্জেন্টকে মারধরের মামলায় গ্রেপ্তার মোটরসাইকেল চালক সোহাগ-উল-ইসলাম রনি পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনের কথা জানিয়েছেন।

মামলার আসামিদের আজ বুধবার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানায় পুলিশ। আদালত রনিসহ ৫ জনের ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আরেক আসামি ইয়াসমিন জাহান নিশাত ভুঁইয়া অন্তঃস্বত্তা হওয়ায় আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। পুলিশও তার ব্যাপারে রিমান্ডের আবেদন করেনি।

৪ জন পুলিশ সদস্য আজ রনিকে ধরাধরি করে আদালতে নিয়ে আসেন। তিনি নিজে চলাচল করতে পারছিলেন না।

পেশায় আইনজীবী রনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পুলিশ হেফাজতে আমার ওপর অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়েছে।'

রিমান্ড আবেদন শুনানির সময় শত শত আইনজীবী আদালতে ভিড় করেন। তারা এই মামলার আসামি রনির জামিনের দাবিতে স্লোগান দেন।

গতকাল মঙ্গলবার সকালে জুরাইনে গণপিটুনির শিকার হন ওয়ারী ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্ট আলী হোসেন। ওয়ারী ট্রাফিক বিভাগের ডেপুটি কমিশনার (ডিসি) সাইদুল ইসলাম জানান, উল্টো পথে একজন নারীকে নিয়ে মোটরসাইকেল চালানোর সময় চালককে থামাতে গেলে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানায়, আহত ট্রাফিক সার্জেন্টকে রাজারবাগের কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

এই ঘটনায় সার্জেন্ট আলি হোসেন ৩ জনের নাম উল্লেখ করে শ্যামপুর থানায় মামলা করেন। এই মামলায় অজ্ঞাত আরও এক থেকে দুই হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে।

অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ক্লিপ শেয়ার করে বলেছেন, হয়রানির প্রতিবাদে জুরাইনের স্থানীয়রা ওই ট্রাফিক সার্জেন্টকে মারধর করেছেন। তবে, ডিসি সাইদুল এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

Comments

The Daily Star  | English

Complete reforms in 2yrs after polls

Parties urged in draft July Charter; opinions sought

4h ago