চেয়ারম্যানের শিশুসন্তানকে হত্যা, টাওয়ার থেকে ঝাঁপ দিয়ে অভিযুক্তের মৃত্যু
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার ঢেউখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমানের শিশুপুত্র আল রাফসানকে (৯) কুপিয়ে হত্যা ও স্ত্রী দিলজাহান বেগমকে আহত করার ঘটনায় অভিযুক্ত এরশাদ মোল্লা (৩৫) টেলিফোন টাওয়ার থেকে ঝাপ দিয়ে মারা গেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আজ বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সদরপুরের আটরশি এলাকার একটি টাওয়ার থেকে ঝাপ দেন এরশাদ।
অভিযুক্ত এরশাদের ভাই ইমরান মোল্লাকে (২৯) গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয়রা। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে।
এরশাদ ও ইমরান সদরপুরের ঢেউখালী ইউনিয়নের মোল্লা বাড়ির সানু মোল্লার ছেলে। এরশাদ সম্প্রতি তার স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার উদ্যোগ নেন। এ নিয়ে গত সোমবার উপজেলা পরিষদে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান সিকদারের মধ্যস্থতায় শালিশ হয়। ওই বৈঠকে ঢেউখালী ইউপি চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। সালিসে এরশাদকে তার স্ত্রীকে তালাক দেওয়া থেকে বিরত থাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়। এরশাদ এ প্রস্তাব নাকচ করে দিলে সালিসকারীরা আজ বুধবারের মধ্যে দেনমোহর বাবদ ৩ লাখ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) ফাহিমা কাদের চৌধুরী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সদরপুরের আটরশি এলাকায় টাওয়ার থেকে ঝাপ দিয়ে এরশাদ মোল্লা (৩৫) মারা গেছেন। এর আগে সন্ধ্যা ৭টার দিকে পাশের ভাঙ্গার নাছিরাবাদ উপজেলার বালিয়াহাটি বাজার এলাকায় গণ পিটুনীর শিকার হয়ে আহত হন এরশাদের ভাই ইমরান মোল্লা (২৯)। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে।'
আজ বুধবার ফরিদপুরে সদরপুর উপজেলার ঢেউখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমানের বাসায় ঢুকে তার শিশুপুত্রকে কুপিয়ে হত্যা ও স্ত্রীকে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা।
Comments