উদ্ধার হয়নি ছিনতাই হওয়া অটোরিকশা, ঋণ নিয়ে কিনলেন আরেকটি
ছিনতাই হওয়া ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা উদ্ধার না হওয়ায় সংসার চালাতে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে আরেকটি অটোরিকশা কিনলেন মুন্সিগঞ্জের মোহাম্মদ সোহেল হোসেন।
গত ৫ মার্চ মুন্সিগঞ্জ শহরের খালইস্ট এলাকা থেকে তার অটোরিকশাটি ছিনতাই হয়। পরিবারের ৫ সদস্য ও ছেলের পড়ার খরচ সবই চলত রিকশা চালিয়ে আয়ের ওপর। বাবা ও ছেলে সময় ভাগ করে নিয়ে সেটি চালাতেন।
আজ শুক্রবার বিকেলে মো. সোহেল হোসেনের সঙ্গে কথা হয় দ্য ডেইলি স্টারের।
নতুন রিকশা কেনার পর খুশি হলেও, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঋণ পরিশোধ নিয়ে দুশ্চিন্তা আছে তার।
দ্য ডেইলি স্টারকে তিনি বলেন, 'মুন্সিগঞ্জ শহরের ইসলামী ব্যাংক শাখা থেকে ১ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছি। এর মধ্যে ৯২ হাজার টাকায় নতুন একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা কিনেছি। এ টাকা ১ বছরের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।'
গত ১২ মার্চ মুক্তারপুর এলাকা থেকে তিনি গাড়িটি কিনেছেন।
'পুলিশ ছিনতাই হওয়া গাড়িটি উদ্ধারে তেমন কিছু করতে পারেনি। তাই সংসারের খরচ জোগাতে ঋণ নিতে হলো,' বলেন তিনি।
সোহেল জানান, নতুন গাড়িটি দিয়ে প্রতিদিন ৮০০-৯০০ টাকা আয় হচ্ছে। ৩ বছর আগে ৮৫ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে আগের গাড়িটি কিনেছিলেন। সেই টাকা শোধ গিয়েছিল।
তিনি বলেন, 'আমার ছেলে বাঁধনের কাছ থেকে আগের গাড়িটি ছিনতাই হয়েছিল। তাই ছেলেকে আর দেওয়া হবে না নতুন গাড়ি।'
৫ মার্চ অটোরিকশাটি ছিনতাইয়ের পর বাবাকে মোবাইলে ফোন করে ঘটনাটি জানিয়েছিলেন বাঁধন। বাবা সোহেল হোসেন তাকে নিয়ে মুন্সিগঞ্জ প্রেসক্লাবে গিয়ে সাংবাদিকদের ঘটনাটি বলেন। সেখান থেকে সদর থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন তারা।
তাদের ধারণা, যাত্রী সেজে পরিকল্পিতভাবে ছিনতাইকারীরা গাড়িটি নিয়ে পালি যায়।
ছিনতাই হওয়া অটোরিকশা উদ্ধারের বিষয়ে জানতে তদন্তকারী কর্মকর্তা ও মুন্সিগঞ্জ সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সেদিন অটোরিকশাটি ছিনতাই হয়েছিল কি না, এ ব্যাপারে তদন্ত চলমান আছে।'
Comments