৫ মাসে নির্যাতনের শিকার ১১৮ সাংবাদিক: আর্টিকেল নাইনটিন

ছবি: সংগৃহীত

চলতি বছরের প্রথম ৫ মাসে অন্তত ১১৮ জন সাংবাদিক হামলার শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছে গণমাধ্যম নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংগঠন আর্টিকেল নাইনটিন। 

আজ রোববার সংগঠনটি এক বিবৃতিতে জানায়, তাদের মধ্যে ৬২টি ঘটনায় সাংবাদিকদের ওপর শারীরিক হামলা হয়েছে। 

এছাড়াও গত ৩ মাসে ৩ জন গণমাধ্যমকর্মীকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে সংগঠনটি। 

বিবৃতিতে বলা হয়, গত ৮ জুন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ডিবিসি নিউজের জ্যেষ্ঠ প্রযোজক আব্দুল বারীকে রাজধানীর হাতিরঝিলের পাশে একটি ঝোপের মধ্যে বুকে ও ঘাড়ে ছুরিকাঘাতের চিহ্নসহ মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।

এর আগে ৬ জুন পটুয়াখালীর কলাপাড়ার একটি পুকুর থেকে স্থানীয় দৈনিক সরেজমিন বার্তার প্রতিনিধি আবু জাফর প্রদীপের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এছাড়া ১৩ এপ্রিল কুমিল্লার স্থানীয় সাংবাদিক মহিউদ্দিন সরকার নাঈম বুড়িচং উপজেলায় পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন।

সংগঠনটি সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে তিনটি হত্যাকাণ্ডে জড়িত প্রকৃত দোষীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে করা মামলা ও গ্রেপ্তার, সম্প্রতি ৩ জন গণমাধ্যমকর্মীর নৃশংস হত্যাকাণ্ড এবং আন্তর্জাতিকভাবে আলোচিত সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলা যার তদন্ত প্রতিবেদন এ পর্যন্ত ৮৯তম বার স্থগিত করা হয়েছে প্রমাণ করে যে সাংবাদিকদের অধিকার লঙ্ঘন এবং তাদের বিরুদ্ধে অপরাধ বাংলাদেশে অব্যাহতভাবে দায়মুক্তির সংস্কৃতি এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতার ক্রমবর্ধমান ভঙ্গুর অবস্থার ইঙ্গিত দেয়।

এর ফলে ভয় এবং সেলফ-সেন্সরশিপের পরিবেশ ও সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে বলে জানায় সংগঠনটি।

সরকারকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাজ করার দাবি জানায় আর্টিকেল নাইনটিন।

বিবৃতিতে বলা হয়, এই বছর ১০টি মামলায় ২৩ জনের মতো সাংবাদিককে বিচারের আওতায় আনা হয়েছে। তাদের মধ্যে তিন জনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

আর্টিকেল নাইন্টিনের দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ফারুক ফয়সলকে উদ্ধৃত করে বিবৃতিতে বলা হয়, 'আইনের অপব্যবহার বিষয়টি স্বীকার করে, সম্প্রতি বেশ কয়েকজন মন্ত্রী আইনের অধীনে মামলা করা সাংবাদিকদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার না করার আশ্বাস দিয়ে আইন সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে, বাস্তবতা ভিন্ন, মামলা ও গ্রেপ্তার এই আইনে ব্যাপকভাবে চলছে।'

 

 

Comments

The Daily Star  | English

Enforced disappearances: Eight secret detention centres discovered

The commission raised concerns about "attempts to destroy evidence" linked to these secret cells

3h ago