বরিশালে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ট্রলারে যাত্রী পরাপার
লকডাউনে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য বরিশালের বিভিন্ন নদীতে ট্রলারে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে। ফলে, সড়কে যান চলাচলে কঠোরতা থাকায় নৌঘাটে যাত্রীর চাপ আগের তুলনায় বেড়েছে।
স্থানীয়রা জানান, বরিশাল জেলার দশ উপজেলার বিভিন্ন নদীর শতাধিক পয়েন্টে এসব ট্রলার চলাচল করছে।
নগরীর কীর্তনখোলা নদীর বেলতলা, স্টিমারঘাট ও খেয়াঘাটে সরেজমিনে ট্রলারে যাত্রী পারাপার করতে দেখা গেছে।
লকডাউনে সব ধরনের পাবলিক ট্রান্সপোর্ট বন্ধ থাকার কথা থাকলেও নগরীর বেলতলা, চরকাউয়া খেয়াঘাট ও বাবুগঞ্জের মীরগঞ্জ খেয়াঘাটে এসব যাত্রীবাহী ট্রলার চলতে দেখা যায়।
স্থানীয়রা জানান, বেলতলা ঘাটের এসব ট্রলারের অধিকাংশ চরমোনাই ইউনিয়নের ঘাটে থামে। সেখান থেকে এগুলো চরমোনাইসহ পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন ইউনিয়নে চলাচল করে। এ ছাড়া, স্টিমারঘাট সংলগ্ন খেয়াঘাট থেকে চরকাউয়া খেয়াঘাট ও বাবুগঞ্জ উপজেলার মীরগঞ্জ থেকে মুলাদি ও হিলার বিভিন্ন গন্তব্যে প্রচুর চলাচল করছে।
ঘাটের দায়িত্বে থাকার ইজারাদারের প্রতিনিধিরা জানান, প্রতিটি ট্রলারে ত্রিশ থেকে পঞ্চাশ জন মানুষসহ সাইকেল, হোন্ডা ও মালামাল পারাপার হচ্ছে।
মাসুম সিকদার নামের এক ব্যবসায়ী জানান, লকডাউন থাকায় তিনি স্ত্রী সন্তান নিয়ে গ্রামের বাড়িতে যেতে ট্রলার ঘাটে এসেছেন। এই মুহূর্তে নগরীতে দোকান খোলা রাখা সম্ভব না, তাই গ্রামে যাচ্ছেন।
বেলতলার ট্রলারচালক হুমায়ুন জানান, জরুরি কাজে মানুষ চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে। অনেকেই ওষুধ, চিকিৎসা বা জরুরি কাজে বাইরে বের হচ্ছে। ফলে, তারা ট্রলার চালাতে বাধ্য হচ্ছে।
ট্রলার চালুর সংবাদ পেয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুশফিকুর রহমান বিজিবির একটি ইউনিট নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। কিন্তু, তাকে ট্রলার বেলতলা খেয়াঘাটে না ভিড়ে আবার ফিরে যায়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, পাবলিক ট্রান্সপোর্টে মানুষের চলাচলের অনুমতি নেই। কিন্তু, ট্রলার চলার খবর পেয়ে তিনি অভিযানে আসেন। কিন্তু, ট্রলার ঘাটে না ভিড়ে যাত্রী নিয়ে ফেরত যায়।
এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
শনিবার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুশফিকুর রহমান, রয়া ত্রিপুরা ও জাবেদ হাসান চৌধুরী সমন্বয়ে তিনটি ভ্রাম্যমাণ আদালত বরিশাল নগরীর পোর্ট, বেলতলা, বাজার রোড, আমানতগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ২৩ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে ৩৫ হাজার দুইশ টাকা জরিমানা আদায় করেছেন।
Comments