এবার রাজাপাকসেকে গ্রেপ্তারের দাবি বিরোধীদলের

শ্রীলঙ্কায় সরকারবিরোধীদের সঙ্গে সরকার সমর্থকদের সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। ছবি: রয়টার্স

শান্তিপূর্ণ সরকারবিরোধী আন্দোলনের বিরুদ্ধে সহিংসতা উসকে দেওয়ার অভিযোগে শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসেকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে দেশটির বিরোধীদল।

সহিংসতায় এ পর্যন্ত ৮ জন নিহত ও ২০০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। এ ছাড়া, বেশ কয়েকজন রাজনীতিকের বাসায় আগুন দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বিজনেস টুডের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

গতকাল সোমবার রাজাপাকসে (৭৬) পদত্যাগ করায় তার মন্ত্রিসভা বাতিল হয়ে যায়। এ মুহূর্তে দেশ চালাচ্ছেন মাহিন্দার ছোটভাই ও দেশের প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে।

মাহিন্দার বিরুদ্ধে বিরোধীদলের অভিযোগ, তিনি সরকারি দলের কর্মীদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারীদের আক্রমণ করতে উসকানি দিয়েছেন।

তামিল আইনপ্রণেতা এম এ সুমনথিরান এক বার্তায় গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, 'মাহিন্দা রাজাপাকসেকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।'

সাবেক প্রেসিডেন্ট মৈত্রিপালা সিরিসেনা ও প্রধান বিরোধীদল সামাগি জানা বালাওয়েগায়া দলের নেতা রাঞ্জিথ মাদ্দুমা বান্দারা তার সঙ্গে একমত প্রকাশ করেছেন।

সিরিসেনা বলেন, 'সহিংসতা উসকে দেওয়ার জন্য তাকে অবশ্যই গ্রেপ্তার করতে হবে। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারীদের ওপর হামলা চালানোর কোনো কারণ নেই।'

কলম্বোর জাতীয় হাসপাতাল জানিয়েছে, সহিংসতায় ৮ জন নিহত হয়েছেন। পাশাপাশি, আহত ২১৭ জন হাসপাতালে জন্য ভর্তি হয়েছেন। তাদের একজনের অবস্থা আশংকাজনক।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদন মতে, ইতোমধ্যে মাহিন্দা রাজাপাকসে তার নিজ বাসভবন ছেড়ে অজ্ঞাত স্থানে চলে গেছেন। পুলিশের সহায়তায় মাহিন্দা ও তার পরিবারকে বের করে আনা হয়েছে।

দেশজুড়ে বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে গত শুক্রবার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে চলমান রাজনৈতিক সংকট সমাধানের উপায় হিসেবে তার ভাইকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াতে বলেন।

গতকাল প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগের পরও দেশটিতে বিক্ষোভ থামেনি।

ঋণের জালে জর্জরিত শ্রীলঙ্কায় আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। সেখানে খাদ্য, জ্বালানি, রান্নার গ্যাস ও ওষুধের মতো প্রয়োজনীয় পণ্যের চরম সংকট রয়েছে।

শ্রীলঙ্কায় গত ২০ বছরের বেশিরভাগ সময়ই প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই আধিপত্য বিস্তার করেছে রাজাপাকসে পরিবার। বিক্ষোভকারীরা এই সংকটময় পরিস্থিতির জন্য এই পরিবারকেই দায়ী করেছেন।

 

Comments

The Daily Star  | English

S Alam threatens int'l legal action against govt over asset freezing: FT

Alam says his family's bank accounts were frozen, they were subjected to travel bans, and they lost control of their companies, all while facing investigations for alleged money laundering without formal notification.

1h ago