কে এই ‘মুরাদ টাকলা’?

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে যাদের নিয়মিত যাতায়াত রয়েছে তারা প্রায়ই ‘মুরাদ টাকলা’ সমস্যার সম্মুখীন হন। ভুক্তভোগীরা অনেকেই এর সঙ্গে সুপরিচিত। কিন্তু এমনও অনেকে রয়েছেন যারা হয়ত কথাটা শুনেছেন কিন্তু স্পষ্ট ধারনা নেই। কেউ ভাবতে পারেন, একে দিয়ে কি মুরাদ নামের কোন টাক মাথার ব্যক্তিকে বোঝানো হয়?

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে যাদের নিয়মিত যাতায়াত রয়েছে তারা প্রায়ই ‘মুরাদ টাকলা’ সমস্যার সম্মুখীন হন। ভুক্তভোগীরা অনেকেই এর সঙ্গে সুপরিচিত। কিন্তু এমনও অনেকে রয়েছেন যারা হয়ত কথাটা শুনেছেন কিন্তু স্পষ্ট ধারনা নেই। কেউ ভাবতে পারেন, একে দিয়ে কি মুরাদ নামের কোন টাক মাথার ব্যক্তিকে বোঝানো হয়?

কে এই ‘মুরাদ টাকলা’?

আসলে মুরাদ টাকলা নামে নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তি নেই। সীমিত ভাষাজ্ঞানের যে কেউ এই নামে পরিচিত হতে পারেন। এই কথাটির উদ্ভব ফেসবুকে এক কমেন্ট থেকে। এক জন হুমকির সুরে লিখতে চেয়েছিলেন “মুরোদ থাকলে যুক্তি দিয়ে বল। ফালতু ছবি দিয়েছিস ক্যান? লেখাপড়া করে কথা বল” কিন্তু তিনি বিকৃত বানানে লিখে বসেন “Murad takla jukti diya bal, falti pic dicos kan! Lakapar kora kata bal”। এই কমেন্টের একটি স্ক্রিনশট কিছু ফেসবুক পেইজ লুফে নেয়। এর পর থেকেই বাংলা কথা যারা বিকৃত বানানে লিখেন তাদের ‘মুরাদ টাকলা’ নামে ডাকা শুরু হয়।

সারা পৃথিবীতে বিশেষ প্রয়োজনে যে কোন ভাষা রোমান হরফে লেখা হয়। একে ট্রান্সলিটারেশন বলা হয়। এর কিছু সুবিধা রয়েছে। যেমন এর মাধ্যমে যে কোন অপরিচিত ভাষার শব্দ উচ্চারণ করা বা পড়া যায়। বিদেশিদের ভাষা শিখতে এটা বিশেষভাবে কাজে দেয়।

বাঙালিদের মধ্যে যারা কম্পিউটার বা স্মার্টফোনে বাংলা টাইপ করতে জানেন না তারাও ট্রান্সলিটারেশনের সহায়তা নেন। এটা দোষের কিছু না। কিন্তু যারা ইংরেজির অক্ষরগুলোর সঠিক উচ্চারণ না জেনে এমনটা করেন তখনই তৈরি হয় বিপত্তি। অনেক সময়ই এই বিকৃতি অশ্লীলতার পর্যায়ে চলে যায়।

কিছু মুরাদ টাকলার উদাহরণ

Comments

The Daily Star  | English
economic challenges for interim government

The steep economic challenges that the interim government faces

It is crucial for the interim government to focus on setting a strong foundation for future changes.

8h ago