‘সাদা সাদা কালা কালা’ গান গেয়ে এত সাড়া পাবো কল্পনাও করিনি
'হাওয়া' সিনেমার 'সাদা সাদা কালা কালা' গানটি গেয়ে এখন তুমুল জনপ্রিয় এরফান মৃধা শিবলু। মেজবাউর রহমান সুমন পরিচালিত সিনেমাটি আগামী ২৯ জুলাই সারাদেশে মুক্তি পেতে যাচ্ছে। অভিনেতা ও সংগীতশিল্পী হিসেবে পরিচিত শিবলু। 'হাওয়া' সিনেমায় গান গাওয়া, নতুন গান ও অন্যান্য প্রসঙ্গ নিয়ে দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।
'হাওয়া' সিনেমার 'সাদা সাদা কালা কালা' গানটি গাওয়ার নেপথ্যের গল্প কী?
শিবলু: সুমন ভাই (মেজবাউর রহমান সুমন) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার শিক্ষার্থী হওয়ার সুবাদে অনেক আগে থেকেই তাকে চিনতাম। গানটির গীতিকার ও সুরকার হাশিম মাহমুদ ভাইয়ের সঙ্গেও পরিচয় ছিল। 'হাওয়া' সিনেমার প্রি-প্রোডাকশনে যাওয়ার আগে সুমন ভাই একদিন হাশিম ভাইকে খুঁজে বের করতে বললেন। হাশিম ভাই তখন নারায়ণগঞ্জে থাকেন। চারুকলা-শাহবাগ এলাকায় বেশি আসেন না। তবে হঠাৎ তাকে খুঁজে পেলাম। তাকে দিয়ে গানটি গাওয়ানোর চেষ্টাও করেন সুমন ভাই। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণে হাশিম ভাই আর গানটি করতে পারেননি। তখন আমাকে গাইতে বলা হয়। এভাবেই গানটির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ি। গানটি মুক্তির পর হাশিম ভাইকে শুনিয়েছি। অনেক আনন্দ পেয়েছেন তিনি।
গানটি খুব অল্প সময়ে শ্রোতাপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এমনটা কী ভেবেছিলেন?
শিবলু: অল্প সময়ে শ্রোতাদের কাছ থেকে এত সাড়া পাবো এটা আসলে কল্পনাও করিনি। হাশিম ভাইয়ের মতো এমন একজন গীতিকার ও সুরকারের গান কণ্ঠে তুলতে পারবো ভাবিনি। এটা আমার জন্য পরম পাওয়া। এই গানটি এখন সবার।
গানের জগতে জড়ালেন কীভাবে?
শিবলু: ছোটবেলায় মগবাজারের নজরুল শিক্ষালয়ে আমার গানের হাতেখড়ি। সেটা ১৯৮২ সালের কথা। বাসায় মা ও মেজ মামা গুনগুন করে গান করতেন। স্কুলে পড়ার সময়ই বন্ধুরা মিলে 'উড়নচণ্ডী' নামে ব্যান্ড গঠন করি। এ ব্যান্ডের সুবাদেই শাহবাগমুখী হওয়া। সেখানেই এক চায়ের দোকানে হাশিম ভাইয়ের সঙ্গে পরিচয়। ধীরে ধীরে তার সঙ্গে দারুণ এক সখ্যতা গড়ে উঠেছিল আমার।
বর্তমান ব্যস্ততা ও নতুন গান নিয়ে কী ভাবছেন?
শিবলু: এখন 'হাওয়া' সিনেমার প্রচারণা নিয়েই ব্যস্ত সময় কাটছে। আমি 'ব্যাচেলর পয়েন্ট' ধারাবাহিক নাটকেও অভিনয় করছি। নতুন কয়েকটি গান নিয়েও ভাবছি।
Comments