‘হাওয়া’য় নতুন এক নাজিফা তুষি

নাজিফা তুষি। ছবি: শেখ মেহেদী মোর্শেদ

হাওয়া সিনেমায় অভিনয় করে সবার প্রশংসায় ভাসছেন নাজিফা তুষি। তিনি এই সিনেমায় গুলতি চরিত্রের অভিনয় করেছেন। মেজবাউর রহমান সুমন পরিচালিত 'হাওয়া' সিনেমাটি অনেক প্রেক্ষাগৃহে হাউজফুল চলছে।

নাজিফা তুষি। ছবি: শেখ মেহেদী মোর্শেদ

অনেক মাল্টিপ্লেক্সে আগামী ৪ আগস্ট পর্যন্ত আগাম টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। স্টার সিনেপ্লেক্সের ৫টি শাখায় প্রতিদিন ২৬টি করে শো চলছে। গতকাল স্টার সিনেপ্লেক্সে টিকিট না পেয়ে সিঁড়িতে বসে সিনেমাটি দেখেছেন নাজিফা তুষি।

নাজিফা তুষি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মানুষের ভালোবাসায় আমি মুগ্ধ। এই ভালোবাসার কারণে আনন্দ লাগছে, আবার ভয়ও লাগছে। কী বলবো আসলে বুঝতে পারছি না। নিজের ভেতর এক ধরনের মিশ্র প্রতিক্রিয়া হচ্ছে। অনেকেই প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে, তাদের সবার কাছে আমার কৃতজ্ঞতা।'

নাজিফা তুষি। ছবি: শেখ মেহেদী মোর্শেদ

তিনি বলেন, 'প্রায় ৬ মাস এই চরিত্রটি নিজের মধ্যে ধারণ করেছি। মাছ কাটতাম। শাড়ি পরতাম। চরিত্র হয়ে ওঠার জন্য বেদে পল্লীতে গিয়েছি। ওদের সঙ্গে থেকেছি। শুটিংয়ে এক মাস মোবাইল ফোন ব্যবহার করিনি। ৬ মাস ঠিক মতো ঘুমাইনি। এটি একটি রহস্যময় চরিত্র।'

সিনেমা দেখে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আনিস চৌধুরী লিখেছেন, 'এই সিনেমার গল্পের পাশাপাশি নাজিফা তুষির অভিনয়ে মুগ্ধ হয়েছি। তার চোখও যেন অভিনয় করছিল। এছাড়া চঞ্চল চৌধুরী, শরিফুল রাজসহ থিয়েটারের অভিনয়শিল্পীদের অভিনয় আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে। সিনেমার চিত্রায়নে চোখ জুড়াবে। 'সাদাসাদা কালাকালা' গানটি সিনেমার সঙ্গে না দেখলে দর্শকরা অনেককিছু দেখা থেকে বঞ্চিত হবেন।'

নাজিফা তুষি। ছবি: শেখ মেহেদী মোর্শেদ

ফেসবুকে আবদুল্লাহ আল মামুন লিখেছেন, 'অভিনেত্রী নাজিফা তুষি অসাধারণ অভিনয় করেছেন গুলতি চরিত্রে। চোখ ফেরানো দায় তারদিক থেকে। আরও একজন অভিনেত্রীর জন্ম হলো সিনেমায়। পরিচালক মেজবাউর রহমান সুমনকে ধন্যবাদ এমন একজন নায়িকা উপহার দেওয়ার জন্য।'

'হাওয়া' সিনেমায় অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী, নাজিফা তুষি, শরিফুল রাজ, সুমন আনোয়ার, সোহেল মণ্ডল, নাসির উদ্দিন খান, মাহমুদ আলম, বাবলু বোসসহ অনেকেই। মেজবাউর রহমান সুমনের কাহিনি ও সংলাপে সিনেমাটির চিত্রনাট্য লিখেছেন জাহিন ফারুক আমিন, সুকর্ণ সাহেদ ধীমান ও মেজবাউর রহমান সুমন।

Comments

The Daily Star  | English

The ceasefire that couldn't heal: Reflections from a survivor

I can’t forget the days in Gaza’s hospitals—the sight of dismembered children and the cries from phosphorus burns.

6h ago