ফেরেশতে সিনেমায় নতুন আমাকে দেখা যাবে: জয়া আহসান

জয়া আহসান। দুই বাংলার নন্দিত অভিনয়শিল্পী। একাধিক নতুন সিনেমা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন চলতি সময়ে। প্রথমবারের মতো ইরানি সিনেমায় সম্পৃক্ত হয়েছেন।
Joya Ahsan
অভিনেত্রী জয়া আহসান। ছবি: স্টার

জয়া আহসান। দুই বাংলার নন্দিত অভিনয়শিল্পী। একাধিক নতুন সিনেমা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন চলতি সময়ে। প্রথমবারের মতো ইরানি সিনেমায় সম্পৃক্ত হয়েছেন।

আজ বুধবার সকালে দ্য ডেইলি স্টার'র সঙ্গে কথা বলেছেন জয়া আহসান।

ঈদের ছুটিতে কীভাবে সময় কাটছে আপনার?

জয়া আহসান: খুব ভালো সময় কাটছে ঈদের ছুটিতে। অনেক এনজয় করছি এই ছুটিটা। অনেকেই বলেন, বড়বেলায় ঈদের আনন্দ আগের মতো থাকে না। কিন্তু আমার কাছে এখনো ঈদ এলে আগের মতোই ভালো লাগা কাজ করে, আগের মতোই খুশি হই, আনন্দ পাই। ঈদ সব সময়ই আমার কাছে অনেক খুশির ও আনন্দের। ঈদের দিন বাসায় ছিলাম দুপুর পর্যন্ত। মায়ের হাতের খাবার খেয়েছি। দুপুরের পর বের হয়েছিলাম। নানুর কবর জিয়ারত করেছি। সত্যি কথা বলতে আমার জীবনে নানুর প্রভাব অনেক বেশি। নানুকে দিয়ে সেই ছোটবেলায় আমার ঈদ শুরু হয়েছিল। বাবা-মা আমাকে পড়ালেখা শিখিয়েছেন কিন্তু নানু আমাকে গান শেখানো, ছবি আঁকাসহ শিল্পের নানা শাখায় পথ চলার জন্য তৈরি করে দিয়ে গেছেন। ঈদের সময় নানুর কথা বেশি মনে পড়ে। নানুকে ঈদের ছুটিতে বেশি মিস করি।

প্রথমবারের মতো ইরানি সিনেমায় অভিনয় করছেন, সেই অভিজ্ঞতা কেমন?

জয়া আহসান: ইরানি সিনেমাটির নাম ফেরেশতে। ঈদের আগে সিনেমাটির শুটিং শেষ করেছি। আমার ক্যারিয়ারে ফেরেশতে নতুন মাত্রা যোগ করবে, এটা মনে প্রাণে বিশ্বাস করি। অসম্ভব সুন্দর একটি গল্পের সিনেমা। এই সিনেমায় নতুন আমাকে দেখা যাবে। একজন সংগ্রামী নারীর চরিত্রে অভিনয় করছি।

শিল্পী জীবনের সবচেয়ে বড় ইতিবাচক দিক কোনটি?

জয়া আহসান: একজন শিল্পী এক জীবনে নানা রকম চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পান। একই মানুষ কত রকম মানুষের চরিত্রে করেন। এক জীবনে অনেক জীবন পান। এটা কি অভিনয়শিল্পী না হলে সম্ভব হতো? কখনোই হতো না। শিল্পী জীবনে এটাকে বড় পাওয়া বলে মনে করি।

ফেলে আসা জীবনে কোনো কিছু কি আপনার জীবনে প্রভাব ফেলে?

জয়া আহসান: আমি ভারতেশ্বরী হোমসে পড়ালেখা করেছি। ক্লাস ফোরে পড়ার সময় আমাকে টাঙ্গাইলের ভারতেশ্বরী হোমসে রেখে আসা হয়েছিল। ওখানে তো অনেক নিয়ম-কানুন। সব কিছু মানিয়ে নিয়েছিলাম ছোটবেলায়। ওটা ছিল আমার জীবনের বড় একটি শিক্ষা। কেননা-একলা চলা, একলা সব কিছু করা এটা তো সবাই পারেন না। আমি ওখানে পড়ালেখা করে এইসব শিখেছি। এটা আমার জীবনের বড় একটি প্রভাব ফেলেছে। এখনো যে কোনো পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারি। এটা শিখেছি ওখানে পড়ালেখা করে।

অভিনয় ছাড়া সবচেয়ে প্রিয় কাজ কি?

জয়া আহসান: এই সময়ে এসে বাগান করা। ছাদ বাগান আছে আমার। বারান্দায় নানা রকম গাছ আছে। ঈদের দ্বিতীয় দিনে এসেই মাকে বলেছি চলো ছাদ থেকে সবজি নিয়ে এসে রান্না করি। সব কিছু ফ্রেশ। এটা যে কতটা শান্তি দেয় তা বলে বোঝানো সম্ভব না। নিজের গাছের পরিচর্যা করা এই সময়ে সত্যিই ভীষণ প্রিয় কাজ।

Comments

The Daily Star  | English

Horrors inside the Gaza genocide: Through a survivor’s eyes

This is an eye-witness account, the story of a Palestinian in Gaza, a human being, a 24-year-old medical student, his real human life of love and loss, and a human testimony of war crimes perpetrated by the Israeli government and the military in the deadliest campaign of bombings and mass killings in recent history.

1d ago