সুশান্তর ছবিসহ ‘বিষণ্ণতা’ লেখা টি-শার্ট বিক্রি

ভারতে অ্যামাজন-ফ্লিপকার্ট বর্জনের আহ্বান

প্রয়াত বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং মৃত্যুর সময় বিষণ্ণতায় আক্রান্ত ছিলেন, এরকম বাণী সম্বলিত একটি টি-শার্ট বিক্রির জন্য বিতর্কিত হয়েছে অ্যামাজন ও ফ্লিপকার্ট। ছবি: সংগৃহীত
প্রয়াত বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং মৃত্যুর সময় বিষণ্ণতায় আক্রান্ত ছিলেন, এরকম বাণী সম্বলিত একটি টি-শার্ট বিক্রির জন্য বিতর্কিত হয়েছে অ্যামাজন ও ফ্লিপকার্ট। ছবি: সংগৃহীত

ভারতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ফ্লিপকার্ট ও অ্যামাজনকে বর্জনের দাবি জানিয়ে জোরদার প্রচারণা চলছে। প্রয়াত বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং মৃত্যুর সময় বিষণ্ণতায় আক্রান্ত ছিলেন, এরকম বাণী সম্বলিত একটি টি-শার্ট বিক্রির জন্য বিতর্কিত হয়েছে প্রতিষ্ঠান দুটি।

আজ ভারতের সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

২০২০ সালের জুনে মুম্বাইয়ে নিজস্ব বাসভবনে মৃত অবস্থায় ৩৪ বছর বয়সী সুশান্তকে পাওয়া যায়।

উল্লেখিত সাইট দুটিতে একটি টি-শার্ট পাওয়া যাচ্ছে, যার নকশায় সুশান্তের মুখচ্ছবির সঙ্গে ইংরেজিতে একটি বাণী দেওয়া আছে, যার সারমর্ম হচ্ছে 'বিষণ্ণতা পানিতে ডোবার মত।' এই বক্তব্যে সুশান্তর ভক্তরা মনক্ষুন্ন হয়েছেন, কারণ এতে মনে হচ্ছে মৃত্যুর সময় সুশান্ত বিষণ্ণতায় আক্রান্ত ছিলেন।

ভক্তরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে 'বয়কট ফ্লিপকার্ট' ও 'বয়কট অ্যামাজন' লিখে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।

ফ্লিপকার্টের উদ্দেশ্যে এক ভক্ত লেখেন, 'একজন মৃত মানুষকে নিয়ে পণ্যের বিপণন চলতে পারে না। তার পরিবারের সদস্যদের কথা ভাবুন। শিগগির আপনারা কর্মফল পাবেন।'

সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে এখনও তদন্ত কার্যক্রম চলছে। এখনও তার মৃত্যুর প্রকৃতি কারণ ও আনুষঙ্গিক ঘটনা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।

এ বিষয়টি উল্লেখ করে আরেক ভক্ত লেখেন, 'তিনি বিষণ্ণতায় আক্রান্ত ছিলেন কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার আপনাকে কে দিয়েছে? মামলার সমাধান এখনও হয়নি।'

২০২০ সালে মারা যান নন্দিত এই তারকা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
২০২০ সালে মারা যান নন্দিত এই তারকা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

আরেক ভক্ত টুইট করেন, 'অ্যামাজনকে প্রত্যাখ্যান করার সময় এসেছে। এ ধরনের অবমাননাকর প্রচারণা চলতে পারে না। এটি সুশান্ত সিং রাজপুতকে ছোট করার জন্য করা হচ্ছে।'

অ্যামাজন ও ফ্লিপকার্ট এখনও এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

সুশান্ত সিং রাজপুতের মামলার তদন্ত কার্যক্রম প্রথমে মুম্বাই পুলিশ পরিচালনা করলে এ মুহূর্তে এর দায়িত্বে রয়েছে ভারতের গোয়েন্দা বিভাগ সিবিআই, মাদক নিয়ন্ত্রণ বিভাগ ও এনফোর্সমেন্ট বিভাগ।

জনপ্রিয় এই অভিনেতার মৃত্যুতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকা ভক্তদের মধ্যে নেমে আসে গভীর শোকের ছায়া।

 

Comments

The Daily Star  | English

Pathways to the downfall of a regime

The erosion in the credibility of the Sheikh Hasina regime did not begin in July 2024.

9h ago