থিয়েটার দিয়ে আমার অভিনয় জীবন শুরু: শহীদুজ্জামান সেলিম

টিভি নাটক-থিয়েটার-সিনেমা সব মাধ্যমের একজন সফল অভিনেতা শহীদুজ্জামান সেলিম। এসবের পাশাপাশি নাট্যপরিচালক হিসেবেও সুনাম আছে তার। এই অভিনেতা অভিনয় শিল্পী সংঘের বর্তমান সভাপতি। এছাড়া শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্টি বোর্ডের কার্যকরী সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।
শহীদুজ্জামান সেলিম। ছবি: শেখ মেহেদী মোর্শেদ

টিভি নাটক-থিয়েটার-সিনেমা সব মাধ্যমের একজন সফল অভিনেতা শহীদুজ্জামান সেলিম। এসবের পাশাপাশি নাট্যপরিচালক হিসেবেও সুনাম আছে তার। এই অভিনেতা অভিনয় শিল্পী সংঘের বর্তমান সভাপতি। এছাড়া শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্টি বোর্ডের কার্যকরী সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।

সম্প্রতি দ্য ডেইলি স্টারের মুখোমুখি হন শহীদুজ্জামান সেলিম। কথা বলেন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে।

অভিনয় শিল্পীদের সবচেয়ে বড় সংগঠন অভিনয় শিল্পী সংঘের সভাপতির দায়িত্বে আছেন। এই পদে নিজেকে কতটা সফল মনে করেন?

২ বছরে সব কাজ করা কঠিন। সভাপতি হিসেবে আমার মেয়াদকাল শেষ হয়েছে কিছু দিন আগে। কতটা সফল হতে পেরেছি সময় বলবে, শিল্পীরা বলবেন। তবে, ভালো কিছু করতে আমার শতভাগ চেষ্টা ছিল। শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্টের সঙ্গে শিল্পীদের সম্পৃক্ত করাই ছিল বড় কাজ। গত ২ বছর অভিনয় শিল্পী সংঘ অনেক গতিশীল ছিল।

আপনার সমসাময়িক অনেকেই থিয়েটার থেকে দূরে আছেন, কিন্তু নিয়মিত থিয়েটার করছেন। এর পেছনে বিশেষ কোনো কারণ আছে কি?

বলতে পারেন ভালোবাসা। থিয়েটার দিয়ে আমার অভিনয় জীবন শুরু। থিয়েটার আমাকে অভিনয় শিখিয়েছে। আমি থিয়েটারকে হৃদয়ে ধারণ করি। কাজেই থিয়েটারের প্রতি ভালোবাসা সবচেয়ে বেশি। এজন্য এখনো নিয়মিত থিয়েটার করছি। যতদিন বাঁচব নিয়মিত থিয়েটার করব। করোনকালেও ঢাকা থিয়েটারের জন্য একটি নাটক পরিচালনা করেছি। নাটকটি মঞ্চেও এসেছে করোনাকালে।

দীর্ঘ অভিনয় জীবনে অনেক চরিত্রে অভিনয় করেছেন, এরপরও কী কোনো অপূর্ণতা কাজ করে?

আমার চাওয়া কম। অনেক পেয়েছি আমি। সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ। দর্শকদের প্রতি গভীর ভালোবাসা। অনেক মানুষ আমাকে ভালোবাসেন। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আমি কখনো আফসোস করি না। আমার চাহিদা কম তাই সমস্যাও কম। কাজেই সেভাবে অপূর্ণতা নেই।

এখন পরিচালনা করছেন না কেন?

আজকাল যেভাবে নাটক হচ্ছে, যেভাবে লগ্নি করা হচ্ছে- আমি সেভাবে কাজ করতে অভ্যস্ত নই। নাটকে অমুককে নিয়ে কাজ করতে হবে- এটা আগে ছিল না। এতো কিছুর পর আবার স্পন্সর জোগাড় করতে হবে। নানা কায়দা কানুন করতে হবে। আমি শিল্পী মানুষ। শিল্পকে ভালোবেসে নাটক  পরিচালনা করতাম। তবে, এসব কারণে এখন নাটক পরিচালনা থেকে দূরে আছি।

থিয়েটারে জড়ানোর গল্প শুনকে চাই-

আমি ঢাকা থিয়েটারে যোগ দিই ১৯৮৩ সালের মে মাসে। তখন কীর্তনখোলা নাটকের কাজ চলছিল। প্রথম বছর শুধু দলে আসা-যাওয়া করতাম। টুকটাক কাজ করতাম। একবছর পর নাটকের দলে অভিনয় করার সুযোগ পাই। ভাষার মাস ছিল, বইমেলা চলছিল। বই মেলার সময় কীর্তনখোলা নাটকের একটি শো হয়। আমি তাতে অভিনয় করি হাজির আলী নামের একটি চরিত্রে। তারও আগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় নাটকের সঙ্গে জড়ায়। প্রথম অভিনয় করেছিলাম 'আবার বাউল আইব ফিরা' নাটকে। এভাবেই থিয়েটারের সঙ্গে আমার পথচলা।

Comments

The Daily Star  | English
44th BCS written exam result

Languishing in BCS LOOP

Imam Hossein had applied for the 41st Bangladesh Civil Service (BCS) exams in November 2019, just months after completing his master’s from Jagannath University.

6h ago