পরীমনি একজন পাওয়ারফুল নারী: শরিফুল রাজ

শরিফুল রাজ ও পরীমনি।

'আইসক্রিম' সিনেমা দিয়ে ঢালিউডে অভিষেক শরিফুল রাজের। এরপর মুক্তি পেয়েছে 'ন ডরাই' এবং মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে 'পরান', 'রক্তজবা', 'হাওয়া' ও 'গুনিন'।

সম্প্রতি শরিফুল রাজ আলোচনায় এসেছেন পরীমনিকে বিয়ে করে। এই দম্পতি জানিয়েছেন খুব শিগগির মা-বাবা হতে যাচ্ছেন তারা। আজ বৃহস্পতিবার সকালে দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে শরিফুল রাজ কথা বলেছেন তাদের প্রেম-পরিণয় ও বর্তমান ব্যস্ততার নানান বিষয় নিয়ে।

শরিফুল রাজ। ছবি: সংগৃহীত

বর্তমান ব্যস্ততা কী নিয়ে?

আপাতত বেবির মায়ের সঙ্গে সময় কাটছে। কয়েকটি দিন শুটিং করছি না। পরীমনির বাড়তি যত্ন নিচ্ছি। সর্বোচ্চ সময়টা ওকে দিচ্ছি। এখন তো বেশি কেয়ার নেওয়ার সময়। সামনে হয়ত লম্বা ছুটিতে থাকব স্ত্রীকে বেশি সময় দেওয়ার জন্য। তারপর সুস্থভাবে বাচ্চা হয়ে যাওয়ার পর আবার কাজ শুরু করব। সৃষ্টিকর্তার কাছে এখন শুধুই চাওয়া সুস্থ বেবি। সব মিলিয়ে জীবনের অন্যরকম সুন্দর সময় কাটাচ্ছি।

পরীমনি। ছবি: সংগৃহীত

আগেই বলেছেন—শুটিং করতে গিয়ে প্রেম এবং অতঃপর বিয়ে। পরীমনির কোন বিষয়টি আপনাকে সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ করেছে?

প্রতিবাদী পরীমনিকে বেশি ভালো লেগেছে। ওর একটা স্ট্রাগল আছে, আবার অসম্ভব সাহসও আছে। প্রতিবাদ করার সাহস। এটা সবাই পারে না। এই জন্য বেশি ভালো লেগেছে।

আপনার চোখে অভিনেত্রী হিসেবে পরীমনি কেমন?

ওর অভিনয় নিয়ে কিছু বলব, কারণ সেটা আপনারা সবাই জানেন। নিজের কাজ দিয়ে সে তো আলাদা একটা জায়গা করেই নিয়েছে। আর মানুষ হিসেবে সে ভীষণ ভালো, দুর্দান্ত ভালো। ওর সঙ্গে আমার  অনেক কিছুতেই মিলে যায়। পরীমনি একজন পাওয়ারফুল নারী। এটা আমাকে অনুপ্রেরণা দিয়েছে।

পরীমনি। ছবি: স্টার

পরীমনিকে নিয়ে এত এত সমালোচনা। সেটা কীভাবে দেখেন?

আমরা যে জায়গায় কাজ করছি, সেখানে আলোচনা ও সমালোচনা আছেই। আগে পরীমনি ছিলেন সহশিল্পী। এখন তো ঘরের মানুষ। আমি ওর জীবন সঙ্গী হয়ে থাকব সারা জীবন, ওর পাশে থাকব সারা জীবন। কোনো সমালোচনা নয়, ভালোবাসায় বাঁচব দুজনে।

পরীমনি। ছবি: স্টার

চলচ্চিত্র নিয়ে স্বপ্নটা কী?

সিনেমা নিয়ে একটাই স্বপ্ন—ভালো গল্প ও চরিত্রে নিজেকে দেখতে চাই। বেশি করে সিনেমা করতে চাই।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

18h ago