কান সেরা ‘ট্রায়াঙ্গল অব স্যাডনেস’

কান চলচ্চিত্র উৎসবের শেষ দিনে ‘স্বর্ণপাম’ হাতে ‘ট্রায়াঙ্গল অব স্যাডনেস’ পরিচালক রুবেন অস্তলুন্ড (ডানে)। পাশে জুরি সদস্য নুমি রাপাস। ছবি: রয়টার্স

এ বছর কান চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা ছবি হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছে পরিচালক রুবেন অস্তলুন্ডের 'ট্রায়াঙ্গল অব স্যাডনেস'।

গতকাল শনিবার 'তীব্র সামাজিক ব্যাঙ্গত্বক' এ চলচ্চিত্রের পরিচালকের হাতে 'স্বর্ণপাম' বা পাম ডি'অর তুলে দেওয়া হয়।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ চলচ্চিত্রে মডেল ও বিত্তবানদের সামাজিক অবস্থানকে হেয় করে এমন ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে।

এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো কোনো সুইডিশ পরিচালক 'স্বর্ণপাম' পেলেন। ২০১৭ সালে প্রথম সুইডিশ চলচ্চিত্র 'দ্য স্কয়ার' এই সম্মানজনক পুরস্কার পেয়েছিলেন।

রুবেন অস্তলুন্ড গণমাধ্যমকে বলেন, 'ছবিটি তৈরির সময় ভেবেছিলাম একে যত ইন্টারেস্টিং করা যায়। চেয়েছিলাম, বেশি মানুষ যেন এটি দেখেন। বিষয়টি যেন তাদের ভাবায়।'

'আমরা দর্শকদের আনন্দও দিতে চেয়েছি' উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, 'আমরা চেয়েছি, তাদের মনে প্রশ্ন জাগুক। তারা এটি নিয়ে আলোচনা করুক।'

বার্তা সংস্থা এএফপি'র দর্শক প্রতিক্রিয়া সংক্রান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, উদ্বোধনী শোতে দর্শকরা ছবিটির একটি দৃশ্য দেখে 'বেশ উচ্চস্বরে হেসেছিলেন'।

'ট্রায়াঙ্গল অব স্যাডনেস' এ ব্রিটিশ অভিনেতা হ্যারিস ডিকিনসন ও দক্ষিণ আফ্রিকার অভিনেত্রী শার্লবি দিয়েন অভিনয় করেছেন। একটি বিলাসবহুল প্রমোদতরীতে তাদের যাওয়ার দৃশ্য দিয়ে চলচ্চিত্রটি শুরু হয়। কিন্তু, সেখানে তারা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েন।

জনপ্রিয় বিনোদন ম্যাগাজিন 'ভ্যারাইটি'র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলচ্চিত্রটি দর্শকদের হাসাবে আর পরিচালক দর্শকদের ভাবাবেন।

'পরিচালক যে ভাষাতেই কথা বলুক না কেন, তিনি পৃথিবীটাকে ভিন্ন চোখে দেখেছেন' বলেও এতে মন্তব্য করা হয়।

Comments

The Daily Star  | English
rising misogyny in Bangladesh

The interim government’s silence over misogyny is tragic

There is chaos and dissent in every corner and no one seems to have a grip on anything.

8h ago