অগ্নি-নিরাপত্তা সরঞ্জাম আমদানিতে অন্য খাতেও পোশাক খাতের সমান শুল্ক চায় এফবিসিসিআই
অগ্নি-নিরাপত্তা সরঞ্জাম আমদানিতে অন্যান্য খাতে পোশাক খাতের সমান শুল্কহার দাবি করেছে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই)।
রোববার দুপুরে অগ্নি-নিরাপত্তা, দুর্যোগ ও বিস্ফোরণ সম্পর্কিত এফবিসিসিআই স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রথম বৈঠকে বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ীরা এ দাবি করেছেন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে সংগঠনটি।
তারা বলেন, 'সরকার শুধু তৈরি পোশাক খাতকে হ্রাসকৃত হারে শুল্ক দিয়ে অগ্নি-নিরাপত্তা সরঞ্জাম আমদানির সুযোগ দিয়েছে। অন্যান্য শিল্পের কারখানাতেও অগ্নি-দুর্ঘটনা ঘটলে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়। তাছাড়া সব খাতের কর্মীদেরই নিরাপত্তার অধিকার সমান। তাই অগ্নি নিরাপত্তা সরঞ্জাম আমদানিতে শুল্কহারে এমন বৈষম্য থাকা উচিত নয়।'
এফবিসিসিআই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে কমিটির চেয়ারম্যান মো. নিয়াজ আলী চিশতি বলেন, 'দেশে নিরাপদ শিল্পায়ন নিশ্চিত করতে সব খাতের কারখানায় অগ্নি-প্রতিরোধ ব্যবস্থা থাকা জরুরি। কিন্তু অতি প্রয়োজনীয় এসব সরঞ্জাম আমদানিতে পোশাক শিল্প ছাড়া অন্যান্য শিল্পোদ্যোক্তাদের উচ্চ কর বহন করতে হয়।'
ফায়ার ডোর, ফায়ার অ্যালার্ম ক্যাবল ও হোস রিল আমদানিতে ৫৮ দশমিক ৬ শতাংশ, গেট ভাল্বে ৩৭ শতাংশ, ফায়ার পাম্প ও ফায়ার অ্যালার্ম সিস্টেমে (ডিটেক্টর) ২৬ দশমিক ২ শতাংশ, ফায়ার এক্সটিংগুইশারে ১১ দশমিক ০৫ শতাংশ ও এবিসি ড্রাই পাউডার আমদানিতে ৩১ শতাংশ করভার বহন করতে হয় বলা জানান তিনি।
'উচ্চ করের কারণে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের অনেক সময় পর্যাপ্ত অগ্নি-প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয় না' উল্লেখ করে তিনি তৈরি পোশাক শিল্পের মতো সব খাতকে সমান সুবিধা দেওয়ার দাবি জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কার্বন ডাইঅক্সাইড, ফোম, ড্রাই পাউডারসহ অন্যান্য আগুন প্রতিরোধী গ্যাস ও রাসায়নিক আমদানিতেও আলাদা অনুমতির দরকার হয়। যে কারণে এসব পণ্য আমদানিকারকদের অযথা হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।
এছাড়া, চট্টগ্রামে বিএসটিআইয়ের কোনো পরীক্ষাগার না থাকায়, আমদানির পর এসব রাসায়নিকের পরীক্ষা করতে ঢাকায় পাঠাতে হয়। এতে বাড়তি ৮ থেকে ১০ দিন সময় লাগে। বন্দর ও কনটেইনারের বাড়তি ভাড়ার কারণে দামও বেড়ে যায়।
বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এফবিসিসিআইয়ের সহসভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, 'বাংলাদেশে এখন শিল্পের নিরাপত্তা বিধানের সময় এসেছে।'
কারখানায় অগ্নি-নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্ট্যান্ডিং কমিটিকে একটি কর্ম পরিকল্পনা গ্রহণ করে কার্যক্রম শুরুর পরামর্শ দেন তিনি।
এ সময় তিনি দেশেই অগ্নি-নিরাপত্তা সরঞ্জাম তৈরিতে আমদানিকারকদের উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানান।
Comments