বিসিক চামড়া শিল্প নগরীর কঠিন বর্জ্য পাচার রোধে ৩ নির্দেশনা

ছবি: সংগৃহীত

সাভারের বিসিক চামড়া শিল্প নগরী থেকে কঠিন বর্জ্য পাচারে জড়িতদের হুশিয়ারি দিয়ে মালিকদের ৩ দফা নির্দেশনা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। 

গতকাল বৃহস্পতিবার সাভারের বিসিক চামড়া শিল্প নগরীর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহফুজুর রহমান রিজওয়ান সাক্ষরিত এক চিঠিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
 
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পোল্ট্রি ফিড তৈরির জন্যে একটি চক্র চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণের কঠিন বর্জ্য (কাটিং, ঝিল্লি, ট্রিমিংস, সেভিং ডাস্ট) পাচার করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এসব বর্জ্য থেকে পশুখাদ্য তৈরি করতে ক্রোমিয়ামসহ নানা ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়। এসব কেমিক্যালে মানবদেহে ক্যান্সারসহ মরণঘাতী রোগের সম্ভাবনা রয়েছে।

এসব অভিযোগের ভিত্তিতে চামড়া শিল্পের কঠিন বর্জ্য পাচার রোধে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শিল্পনগরী কার্যালয়-১-এর মাধ্যমে ইতোমধ্যে শিল্প মালিকদের কঠিন বর্জ্য পাচার রোধে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়েছে।

আদেশে বলা হয়, চামড়া শিল্পের কঠিন বর্জ্য পাচার রোধে শিল্পনগরী কর্তৃপক্ষ ও শিল্পনগরী এলাকার পুলিশ ফাঁড়ি জিরো টলারেন্সে অবস্থান করছে। কঠিন বর্জ্য পাচারে কারও সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থাসহ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

এ ছাড়া এ আদেশে পাচার রোধে কারখানা মালিকদের জন্য ৩টি আদেশ দেওয়া হয়েছে। 

এরমধ্যে রয়েছে, শেভিং ডাস্ট ও ক্রোম মিশ্রিত বর্জ্য পরিবহনে আন্তঃজেলা ট্রাক ও পিকআপ ব্যবহার নিষিদ্ধ, শিল্প ইউনিট থেকে মালবাহী যানবাহনের গেট পাস থাকতে হবে। এই পাস না থাকলে কোনো মালবাহী গাড়ি পরিবহন করতে দেওয়া হবে না। ঘড়ির ফিতা, মানিব্যাগের জন্য কাটা চামড়া রাত ১০টা থেকে সকাল ৮টার মধ্যে পরিবহন করতে দেওয়া হবে না।

এ ছাড়া বিসিক চামড়া শিল্পনগরীর ২ নম্বর গেইট সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। অন্য সময়ে গেটটি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রাখা হবে বলেও জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের (বিসিক) নির্দেশনা মানতে শিল্পমালিকদের অনুরোধও জানানো হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

6h ago