মালদ্বীপে বাংলাদেশির উদ্যোগে প্রথম কৃষি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু

মালদ্বীপে বাংলাদেশি উদ্যোক্তার প্রতিষ্ঠিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমআই কলেজে ‘স্কুল অব অ্যাগ্রিকালচার’র আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মালদ্বীপে কৃষি শিক্ষা প্রবর্তনের ক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে এটাই প্রথম উদ্যোগ।
কৃষি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির উদ্বোধন অনুষ্ঠান। ছবি: স্টার

মালদ্বীপে বাংলাদেশি উদ্যোক্তার প্রতিষ্ঠিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমআই কলেজে 'স্কুল অব অ্যাগ্রিকালচার'র আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মালদ্বীপে কৃষি শিক্ষা প্রবর্তনের ক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে এটাই প্রথম উদ্যোগ।

দেশটির আড্ডু শহরে এমআই কলেজের অ্যাকাডেমিক ভবনে এই কৃষি ফ্যাকাল্টির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মালদ্বীপের পরিকল্পনা ও হাউজিং মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী আব্দুল্লাহ সদিগ। বাংলাদেশি উদ্যোক্তা আহমেদ মোত্তাকির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আড্ডু শহরের সাবেক মেয়র, মালদ্বীপের উচ্চপদস্থ শিক্ষা কর্মকর্তা, শিক্ষাবিদ ও ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিমন্ত্রী এ ধরনের উদ্যোগকে স্বাগত জানান এবং এর সফলতা কামনা করে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তিনি বিভিন্ন স্থাপনা, ল্যাবরেটরি, সংগৃহীত জার্মপ্লাজম ও ব্যবহারিক সুবিধা পরিদর্শন করে সন্তুটি প্রকাশ করেন।

বাংলাদেশি উদ্যোক্তা আহমেদ মোত্তাকি জানান, প্রাথমিকভাবে 'সার্টিফিকেট ইন লেভেল থ্রি গার্ডেন' কোর্সটি শুরু করা হয়েছে এবং পরবর্তীতে অন্যান্য কোর্সসহ কৃষিতে স্নাতক কোর্স শুরু করা হবে।

কোর্সটি পরিচালনা ও সার্বিক কার্যক্রম তদারকির জন্যে বাংলাদেশের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. মাহমুদ মিরদাহ ও ড. মো. খালেদ কামাল সেখানে যোগ দিয়েছেন।

বর্তমানে মালদ্বীপের বিভিন্ন দ্বীপে এমআই কলেজের ১৭টি শাখায় ৩ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী রয়েছেন। তাদের বেশিরভাগই মালদ্বীপের নাগরিক। ২০০৬ সালে বাংলাদেশি আহমেদ মোত্তাকির প্রতিষ্ঠিত কলেজটি মালদ্বীপের শিক্ষা প্রসারে গুরুত্ব অবদান রাখছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুরের মিয়াবাড়ির আহমেদ মোত্তাকি ৩০টি বছর ধরে মালদ্বীপে প্রবাসী।  প্রবাস জীবনটা দেশটির সরকারি স্কুলে শিক্ষকতা দিয়ে শুরু করলেও এখন তিনি একজন বাংলাদেশি শিক্ষা উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী।

তার মালিকানার মিয়াঞ্জ ইন্টারন্যাশনাল গ্রুপ মালদ্বীপে বাংলদেশি খাদ্য ও কৃষিপণ্যের বড় আমদানিকারক খ্যাতি পেয়েছে। এ ছাড়াও বিপুল সংখ্যার বাংলাদেশির কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে।

লেখক: মালদ্বীপপ্রবাসী সাংবাদিক

Comments