অস্ট্রেলিয়ায় শনাক্তের হার বাড়ছে, বাড়ি থেকে কাজের পরামর্শ

ছবি: রয়টার্স ফাইল ফটো

ওমিক্রন ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট বিএ-৪ ও বিএ-৫ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে অস্ট্রেলিয়ায়। জনজীবন আবার বিপর্যস্ত হতে চলেছে। হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর সংখ্যা আতঙ্কিত করে তুলেছে সবাইকে।

দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী মার্ক বাটলার কর্মচারীদের বাড়ি থেকে কাজের পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, গত সপ্তাহে শনাক্তের সংখ্যা ৩ লাখ ছাড়িয়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিবৃতিতে বলেছেন, 'নিয়োগকর্তাদের তাদের কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করতে উৎসাহিত করা এখন খুবই জরুরি। এটি একটি ভালো অনুশীলন। অতীতে আমরা এর সুফল পেয়েছি। দুর্ভাগ্য যে, আবার আমাদের পেছনের দিকে ফিরতে হচ্ছে।'

প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা পল কেলি গণমাধ্যমকে বলেছেন, 'নিয়োগকর্তাদের উচিত তাদের কর্মীদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা কাঠামো পুনর্বিবেচনা করা। কর্মীদের সর্বোত্তম স্বার্থে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। অসুস্থ হলে তাদের ছুটি পেতে সহায়তা করা উচিত।'

অস্ট্রেলিয়া যেহেতু ওমিক্রন ভাইরাসের বিস্তারের সঙ্গে লড়াই করছে তাই স্বাস্থ্যমন্ত্রী মার্ক বাটলার বিশেষজ্ঞদের স্বাস্থ্য পরামর্শ অনুসরণ করতে নাগরিকদের অনুরোধ জানিয়েছেন।

বিশেষজ্ঞদের সুপারিশ, গণপরিবহন, মার্কেট ও বাড়ির ভেতরে মাস্ক পরিধান, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও লোক সমাবেশ এড়িয়ে চলা খুব জরুরি। তারা সতর্ক করেছেন যে শুধুমাত্র প্রথম ২টি ভ্যাকসিন থাকা ভাইরাস থেকে রক্ষার জন্য যথেষ্ট নয়।

গত সপ্তাহে ৫ লাখেরও বেশি অস্ট্রেলিয়ানের চতুর্থ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। তবে প্রথম বুস্টারের হার এখনো কম। জনসংখ্যার মাত্র ৭০ দশমিক ৯ শতাংশ তৃতীয় ডোজ টিকা নিয়েছেন।

গত মঙ্গলবার ক্যানবেরায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বাটলার সাংবাদিকদের বলেছেন, 'তৃতীয় ডোজ নেওয়ার হার খুব একটা বাড়ছে না।'

প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ বলেছেন, 'অতীতে মহামারির সময় আমরা দেখেছি, মানুষ অবিশ্বাস্যভাবে সচেতন ছিলেন। মহামারি চলাকালে কঠোরভাবে বিধিনিষেধ মেনে চলেছেন। একে অপরের যত্ন নিয়েছেন এবং আমি নিশ্চিত যে তারা এটি চালিয়ে যাবেন।'

আকিদুল ইসলাম: অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী লেখক, সাংবাদিক

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh trade deficit July-August FY25

Trade deficit narrows 2.6% in July-April

The country’s trade deficit narrowed by 2.60 percent in the first ten months of the current fiscal year compared to the same period a year ago, thanks to a rise in export earnings coupled with subdued imports..During the July-April period of fiscal year (FY) 2024-25, the trade gap was $18.

5h ago