সিংড়া বন থেকে ১৯ হিমালয়ান শকুন অবমুক্ত
দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার সিংড়া বন থেকে ১৯ হিমালয়ান শকুন বা হিমালয়ান গ্রিফন অবমুক্ত করা হয়েছে।
দক্ষিণ এশিয়ার হিমালয় এবং তিব্বত অঞ্চলের এই শকুনগুলো বিভিন্ন সময়ে উদ্ধার করা হয়। আজ শনিবার শকুনগুলো অবমুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।
শকুনগুলো উদ্ধারের পর বাংলাদেশ বন বিভাগ এবং ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার (আইইউসিএন) বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের যৌথ উদ্যোগে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার সিংড়া বনের শকুন সংরক্ষণ কেন্দ্রে আনা হয়।
বেশীরভাগ শকুন জখম অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল বলে জানান দিনাজপুর জেলার বন কর্মকর্তারা।
অবমুক্ত করার আগে বিভিন্ন কোডসহ একটি ট্যাগ শকুনগুলোর পায়ে ও ডানায় বসানো হয়।
২ সপ্তাহ আগেও ৭টি শকুন অবমুক্ত করা হয়েছিল।
আইইউসিএন এর কান্ট্রি ডিরেক্টর রাকিবুল আমিন বলেন, '১৯৯০ সালের দিকে বাংলাদেশে শকুনের ৬টি প্রজাতি দেখা যেত। তবে, পাখির সংখ্যা উদ্বেগজনকভাবে হ্রাস পেয়েছে এবং সেগুলোর অধিকাংশই বিলুপ্তির পথে।'
তিনি জানান, শকুনের হিমালয়ান গ্রিফন প্রজাতিটিও বিলুপ্তপ্রায় পাখি।
প্রতি বছর শীত মৌসুমে হিমালয় অঞ্চল থেকে পরিযায়ী পাখি আসে বাংলাদেশে। তবে, এখানে পাখিগুলোকে নানান প্রতিকূলতার মুখে পরতে হয়। বসবাসের জন্য গাছ ও খাদ্যের সংকট তাদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
রাকিবুল আমিন বলেন, 'এ পর্যন্ত বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে হিমালয়ান গ্রিফন প্রজাতির ১৪৯টি শকুন উদ্ধার করা হয়েছে। যেগুলো পরবর্তীতে শকুন পুনর্বাসন কেন্দ্র থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।'
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ইকবাল আবদুল্লাহ হারুন বলেন, 'শকুন প্রকৃতি পরিচ্ছন্নকারী। তারপরও এই উপকারী পাখিটি বিলুপ্তির মুখে রয়েছে। এই পাখির সংখ্যা বাড়াতে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে।'
Comments