সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে বন্যপ্রাণী বিক্রি, আটক ১
আইনগতভাবে বন্যপ্রাণী আটক এবং ক্রয়-বিক্রয় শাস্তিযোগ্য অপরাধ হলেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে অনেকেই গোপনে এই অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
আজ শনিবার বন্যপ্রাণী বিক্রির সঙ্গে জড়িত রাসেল মিয়া (৩৭) নামে এক জনকে কৌশলে বনবিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে তুলে দিয়েছেন সিলেটের পরিবেশকর্মীরা। সেসময় তার কাছ থেকে ২টি বানরের বাচ্চা ও ২টি বালিহাঁস উদ্ধার করা হয়।
পরিবেশকর্মীদের উদ্যোগে এবং বনবিভাগ, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের যৌথ অভিযানে তাকে আটক করা হয়েছে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, দীর্ঘদিন ধরে রাসেল বানর, টিয়াপাখি, বালিহাঁস, কালিমসহ বিভিন্ন বিক্রয়নিষিদ্ধ প্রাণী বিক্রি করে আসছেন।
তিনি বলেন, 'ফেসবুকে শিকদার মো. রাসেল নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে বিভিন্ন বন্যপ্রাণী বিক্রির গ্রুপে পোস্ট দিতেন রাসেল। এসব পোস্ট চোখে পড়ায় পরিবেশকর্মী ও আইনজীবী অরুপ শ্যাম বাপ্পী ক্রেতা সেজে তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে তিনি ২টি বানর ও ২টি বালিহাঁস বিক্রির জন্য নিয়ে আসলে নগরীর শাহী ঈদগাহ এলাকায় তাকে আটক করে বনবিভাগের উপস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয়। ফলের বক্সের ভেতরে কৌশলে লুকিয়ে খাঁচাবদ্ধ প্রাণীগুলো উদ্ধার করে বনবিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।'
অরুপ শ্যাম বাপ্পী বলেন, 'আইনগতভাবে বন্য প্রাণী আটক এবং ক্রয়-বিক্রয় অবৈধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তবুও এসব চক্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে গোপনে এই অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে যার ফলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। এই বিষয়ে বনবিভাগের আরও দৃঢ় নজরদারির প্রয়োজন।'
বন বিভাগের সিলেট টাউন রেঞ্জের ওয়াইল্ডলাইফ রেঞ্জার মো. শহিদুল্লাহ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আটককৃতের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী আইনে মামলা দায়েরের পর আদালতে পাঠানো হবে। উদ্ধার করা প্রাণীগুলো বনে অবমুক্ত করা হবে।'
Comments