বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে সুন্দরবনে ১০০ কুমির অবমুক্ত
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে সুন্দরবনে একশ কুমির অবমুক্ত করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে সুন্দরবনের ৪টি স্থানে কুমিরগুলি অবমুক্ত করা হয়।
দুপুরে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জে করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের সামনে আনুষ্ঠানিকভাবে নদীতে কয়েকটি কুমির অবমুক্ত করেন বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার।
পরে পর্যায়ক্রমে ৪০টি কুমির নদীতে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান বন সংরক্ষক (সিসিএফ) আমির হোসেন চৌধুরী, খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক (সিএফ) মিহির কুমার দো, সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন, বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ, খুলনা বিভাগীয় বন বিভাগের কর্মকর্তা নির্মল কুমার পাল, করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ইনচার্জ আজাদ কবিরসহ বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের সামনে নদীতে ৪০টি কুমির ছাড়াও শরণখোলা রেঞ্জ এলাকায় ২০টি, সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের সাতক্ষীরা এলাকায় ২০টি, খুলনায় ২০টি কুমির অবমুক্ত করা হয়েছে।
ছেড়ে দেওয়া কুমিরগুলোর বয়স প্রায় ২ বছর। চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে জন্মানো এসব কুমিরের ওজন প্রায় ৮ থেকে ২০ কেজি।
বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনে ৩৭৫ প্রজাতির বন্যপ্রাণী রয়েছে। নোনা পানির কুমিরও সুন্দরবনে কিছুটা বিপন্ন।
এই প্রজাতির কুমিরকে বাঁচিয়ে রাখতে আমরা নানা উদ্যোগ নিয়েছি। এরই অংশ হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সুন্দরবনে একশটি কুমির অবমুক্ত করা হয়েছে। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে লোনা পানির কুমিরসহ বিলুপ্তপ্রায় বিভিন্ন প্রজাতি সুন্দরবনে অবমুক্ত হয়েছে।
Comments