করমজলে ৩৪টি ডিম দিলো বিরল কচ্ছপ বাটাগুর বাসকা
সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে আবারও ডিম দিয়েছে বিরল প্রজাতির বাটাগুর বাসকা কচ্ছপ। রোববার সকালে বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের একটি পুকুরের পাশে একটি কচ্ছপ ৩৪টি ডিম দেয়। বাচ্চা ফুটানোর জন্য ডিমগুলোকে ইনকিউবেশনে (বালিতে) রাখা হয়েছে।
সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
৬০ থেকে ৬৫ দিনের মধ্যে ডিমগুলো ফুটে বাচ্চা হবে বলে জানান তিনি।
আজাদ কবির বলেন, 'আমরা এই বিপন্ন প্রজাতির কচ্ছপগুলোকে খুব গুরুত্ব সহকারে লালন-পালন করে আসছি। এর আগেও কচ্ছপগুলো আমাদের এখানে ডিম দিয়েছে। সেই ডিম থেকে বাচ্চাও ফুটেছিল।'
বর্তমানে এই প্রজননকেন্দ্রে ৪৩৬টি কচ্ছপ আছে বলে জানান তিনি।
প্রজনন কেন্দ্রের এই কর্মকর্তা জানান, ২০১৭ সালে ২টি কচ্ছপের ৬৩টি ডিম থেকে ৫৭টি বাচ্চা হয়েছিল। ২০১৮ সালে ২টি কচ্ছপের ৪৬টি ডিম থেকে ২১টি বাচ্চা পাওয়া গেছে। ২০১৯ সালে ১টি কচ্ছপের ৩২টি ডিম থেকে ৩২টি বাচ্চা পাওয়া গিয়েছিল। ২০২০ সালে ১টি কচ্ছপের ৩৫টি ডিম থেকে ৩৪টি বাচ্চা পাওয়া যায়।
এসব বাচ্চা থেকে বন বিভাগ ২০১৭ সালে ২টি, ২০১৮ সালে ৫টি এবং ২০১৯ সালে ৫টি কচ্ছপ সুন্দরবনের বিভিন্ন নদীতে ছাড়ে।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ১০টি কচ্ছপ সুন্দরবনে অবমুক্ত করা হবে বলে জানান তিনি।
২০০০ সালে বন্যপ্রাণী গবেষকরা জানতেন বাটাগুর বাসকা পৃথিবীতে আর নেই। পরে, ২০০৮ সালে গবেষকরা অনুসন্ধান করে নোয়াখালী ও বরিশালের বিভিন্ন জলাশয়ে ৮টি বাটাগুর বাসকার সন্ধান পান। এর মধ্যে ৪টি ছিল পুরুষ ও ৪টি মা কচ্ছপ।
কচ্ছপগুলোকে প্রজননের জন্য পরে গাজীপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রায় ৯৪টি বাচ্চার জন্ম হয়। পরে বাচ্চাগুলোসহ ওই ৮ কচ্ছপকে করমজল কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্রে নেওয়া হয়।
Comments