আমরা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ করতে পারছি না: পরিবেশমন্ত্রী
সংবিধানের ১৮ (খ) অনুচ্ছেদে বন, পরিবেশ ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক বলা হলেও পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন যে তারা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ করতে পারছেন না।
আজ বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার (আইইউসিএন) আয়োজিত 'ন্যাশনাল রেজাল্ট শেয়ারিং অ্যান্ড কনসালটেশন ওয়ার্কশপ' শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, কেবল নভেম্বর মাসেই চট্টগ্রাম ও শেরপুরে ৮টি হাতি মারা যায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এবং দুর্বৃত্তদের গুলিতে হাতিগুলো মারা গেছে।
মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন বলেন, 'সংবিধানের ১৮ (খ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য রাষ্ট্র পরিবেশ, বন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ করবে।'
'তবে এটি দুঃখজনক যে আমরা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ করতে পারছি না। কারণ বনের অবস্থা আগের মতো নেই। বন্যপ্রাণী বনে থাকার কথা। কিন্তু বন মানুষের দখলে চলে গেলে বন্যপ্রাণীরা বাঁচবে কী করে,' যোগ করেন তিনি।
বন বিভাগের একার পক্ষে এটা সম্ভব নয় উল্লেখ করে তিনি সরকারের অন্যান্য সংস্থাকে বন সংরক্ষণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার বলেন, 'এ বিষয়ে আইন থাকলেও, আমরা সবাই জানি যে আইনের কতটা বাস্তবায়ন হয়।'
তিনি বলেন, 'বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ করতে চাইলে আমাদের স্থানীয়দের বোঝাতে হবে যে তাদের কোন কাজগুলো করা উচিত আর কোনটা উচিত না।'
এ সময় মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল বাংলাদেশ হাতি বিলুপ্ত হতে না দেওয়ার অঙ্গীকার করে বলেন, 'আমরা আইইউসিএনকে হাতির করিডোরের নির্দিষ্ট ডেটা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। প্রয়োজনে আমরা হাতির নিরাপদ চলাচলের জন্য জমি অধিগ্রহণ করব।'
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মনিরুল এইচ খান হাতির আন্তঃসীমান্ত করিডোর সম্পর্কে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন এবং রকিবুল আমিন প্রকল্পের সংক্ষিপ্ত বিবরণ উপস্থাপন করেন।
Comments