বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ‘শিক্ষার্থী লাঞ্ছনা’র অভিযোগ

ছবি: সংগৃহীত

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে 'লাঞ্ছনার' অভিযোগ এনে উপাচার্য ড. ছাদেকুল আরেফিনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের এক শিক্ষার্থী।

আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টার পরে অভিযোগ পাওয়ার কথা দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন উপাচার্য ড. ছাদেকুল আরেফিন। 

জানতে চাইলে উপাচার্য ড. ছাদেকুল আরেফিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমি আজ সকালে একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে একটি প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্যে একটি কমিটি গঠনের কথা বিবেচনা করা হচ্ছে।' 

ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের অভিযোগকারী শিক্ষার্থী লিখিত অভিযোগে বলেন, 'সোমবার দুপুর দেড়টা নাগাদ আমি আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কর্তৃক শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হয়েছি।' 

অভিযোগকারী শিক্ষার্থী এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি। তিনি বলেন, 'আমার শরীর ও মন ভীষণ খারাপ। এ বিষয়ে আমি আর কথা বলতে পারবো না।'

গতকাল ঘটনাস্থলে উপস্থিত বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী দ্য ডেইলি স্টারের কাছে ঘটনাটি বর্ণনা করেছেন। 

আইন বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, 'স্যার আইন বিভাগে ছিলেন, আমি কাগজপত্র সই করার জন্য স্যরের রুমে গেছি। এমন সময়ে বাইরে চিৎকার চেঁচামেচি শুনে স্যার বাইরে গিয়ে কয়েকজন ছেলেকে ডাক দেন। এরপর অধিকাংশ ছাত্র চিৎকার থামিয়ে স্যারের সামনে এসে দাঁড়ায়। ওইসময় তাদের মধ্যে একজন স্যারের কথা না শুনে সেখানেই দাঁড়িয়ে ছিল। স্যার তাকে ডাকলে সে বলে ওঠে, "আপনি কে?" তখন অন্যরা তাকে স্যারের পরিচয় দিলেও সে বলতে থাকে, "উনি অন্য বিভাগের স্যার, আমার বিভাগের তো না।" তার এমন  ব্যবহারের পর স্যার তাকে হাত ধরে ডিপার্টমেন্টে আনার চেষ্টা করলে সে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে চিৎকার করতে থাকে। পরে স্যার তাকে জামা ধরে টেনে নিয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান ক্লাসরুমে বসিয়ে প্রক্টর স্যারকে খবর দেন। তখন সে প্রক্টর স্যারের কাছে তার জামার কলার ধরার ব্যাপারে অভিযোগ করে। সেসময় প্রক্টর স্যার তাকে বোঝালে সে শান্ত হয়।'

প্রক্টর খোরশেদ আলম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'শিক্ষককে অবমাননা ও উদ্ধত আচরণের কারণে আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আমাকে ডিপার্টমেন্টে ডেকেছিলেন। আমি তার সঙ্গে কথা বলার পরে সব মিটমাট হয়ে যায়। কিন্ত পরে ওই শিক্ষার্থী তাকে "লাঞ্ছনা" করা হয়েছে বলে প্রচার করতে থাকে। কারো প্ররোচনায় পড়ে সে এমনটি করছে বলে ধারণা করছি।'

অভিযুক্ত শিক্ষক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগের কথা আমি আনুষ্ঠানিকভাবে শুনিনি। গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে কিছুটা জানতে পেরেছি।'

'পুরো বিষয়টি নিয়ে আমি বিব্রত। আমি সারা রাত ঘুমোতে পারিনি,' বলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English
Anti-Discrimination Students Movement

Students to launch political party by next February

Anti-Discrimination Student Movement and Jatiya Nagorik Committee will jointly lead the process

9h ago