ধর্ষণ অভিযোগে ‘যথাযথ পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থতা,’ ছাত্র ইউনিয়ন ঢাবি সংসদের কার্যক্রম স্থগিত

বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের এক নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে 'ব্যর্থতা, অপরিণামদর্শিতা ও ভুক্তভোগীর প্রতি অপরাধের' অভিযোগ তুলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ইউনিয়নের নতুন কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করেছে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটি।

আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, কেন্দ্রীয় সংসদের দপ্তর সম্পাদক রেজোয়ান হক মুক্তের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে ধর্ষণে অভিযুক্তের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রত্ব বাতিলেরও দাবি জানানো হয়েছে। 

গত ২১ মার্চ ধর্ষণের অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ইউনিয়নের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আকিফ আহমেদকে বহিষ্কার করা হয়। বহিষ্কৃত নেতা নিজেই অভিযোগের বিষয়ে একটি স্বীকারোক্তিমূলক পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বলে ছাত্র ইউনিয়নের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

গণমাধ্যমে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, 'কোনো প্রকার আনুষ্ঠানিক প্রেস বিজ্ঞপ্তি আকারে সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি। কেবল ফেসবুক পেজে পোস্ট করে দায় সারার চেষ্টা হয়েছে। বিবৃতিতে সংগঠনের প্যাড, দপ্তর সম্পাদকের স্বাক্ষর ও তারিখ ব্যবহার করা হয়নি।'

এতে আরও যেসব সিদ্ধান্ত জানানো হয়, সেগুলো হলো- আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সাংগঠনিক ইমেইল ও ফেসবুক পেজ কেন্দ্রীয় সংসদের কাছে বুঝিয়ে দিতে হবে, ছাত্র ইউনিয়নের নিপীড়নবিরোধী সেলকে এ ঘটনা তদন্ত করে আগামী ৭ দিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলী বরাবর চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল এবং অভিযুক্তকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের জন্য সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি জানানোসহ অভিযোগকারী যদি কোনো প্রকার আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চান সেক্ষেত্রে সাংগঠনিকভাবে সর্বোচ্চ সহযোগিতা নিশ্চিত করা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি শিমুল কুম্ভকার বলেন, 'এটি কেন্দ্রীয় কমিটির একাংশের দাবি। ফয়েজ উল্লাহ ও দীপক শীলের যে কমিটি রয়েছে তারা এই বিবৃতি দিয়েছেন। তারা এই ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে, সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছে। তাদের সঙ্গে আমাদের ঢাবি সংসদের কোনো সাংগঠনিক সম্পর্ক নেই। ঢাবি সংসদ নজির আমিন চৌধুরী জয় ও রাগীব নাঈমের নেতৃত্বে রয়েছে। তাই ফয়েজ-দীপক কমিটির কোনো সিদ্ধান্ত আমাদের ওপর বর্তায় না। আমাদের কার্যক্রম যথারীতি চলবে।'

অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, 'তারা যা বলছে সবই অমূলক। তারা যে তথ্যগুলো দিচ্ছে সেগুলো ভুল। আমরা তাৎক্ষণিকভাবে অপরাধীকে বহিষ্কার করেছি, ফেসবুকে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Ship from Karachi port: What was in the cargo?

Most of the cargo that arrived from Karachi contained industrial raw materials, including soda ash, dolomite, limestone, chemicals, onion, fabrics and potatoes

6h ago