পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে কুয়াকাটায় থাকা-খাওয়ায় ছাড়
পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সৈকতের আবাসিক হোটেলগুলোতে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত এবং রেস্তোরাঁগুলোতে ২০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়ের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড় আগামী ৬ জুলাই পর্যন্ত চলবে।
গত শনিবার সেতু উদ্বোধনের দিন থেকে কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল মালিক সমিতি ও রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি পৃথকভাবে এ ছাড়ের ঘোষণা দিয়েছে।
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, 'ঢাকা থেকে কুয়াকাটায় আসার একমাত্র প্রতিবন্ধকতা ছিল পদ্মা সেতু। ২৫ জুন সেতু খুলে দেওয়ার আনন্দে এবং কুয়াকাটা সৈকতে পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে আমরা ওই দিন থেকেই আবাসিক হোটেলগুলোতে সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দিচ্ছি।'
'এছাড়া এখানকার রেস্তোরাঁ মালিক সমিতিও খাবারের ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দিচ্ছে। ২ সপ্তাহ অর্থাৎ ৬ জুলাই পর্যন্ত চলবে এ বিশেষ ছাড়,' বলেন তিনি।
তিনি জানান, কুয়াকাটায় ছোট-বড় ১৩০টি আবাসিক হোটেল আছে এবং এসব হোটেলে একসঙ্গে ১৫ হাজার পর্যটক অবস্থান করতে পারেন।
কুয়াকাটায় আবাসিক হোটেল সিকদার রিসোর্টের হিসাবরক্ষক মো. শাহিন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমাদের হোটেলে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দিচ্ছি। পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে আমরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এতে সাড়াও পাচ্ছি বেশ।'
'অনেকে আগাম বুকিং দিচ্ছেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে আমাদের হোটেলের অর্ধেক রুম আগাম বুকিং হয়েছে,' বলেন তিনি।
খান প্যালেসের ম্যানেজার আব্দুস শাকুর ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমাদের হোটেলে ৪০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হচ্ছে। পদ্মা সেতু চালুর পর পর্যটকের সংখ্যা বেড়েছে। আগামী সাপ্তাহিক ছুটির দিনে হোটেলের রুম বুকিং গত বছরের এমন সময়ের তুলনায় ৩০ শতাংশ বেড়েছে।'
'আশা করছি ঈদুল আযহার ছুটিতে কুয়াকাটায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পর্যটকের সমাগম ঘটবে এবং করোনাকালের ক্ষতি কাটিয়ে ওঠতে পারব,' যোগ করেন তিনি।
কুয়াকাটা রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও কলিম রেস্তোরাঁর মালিক কলিম মাহমুদ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পদ্মা সেতু চালুর ফলে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এখন পর্যটকরা সহজেই কুয়াকাটা আসতে পারছেন। এ কারণে আমরা ২ সপ্তাহের জন্য আমাদের সংগঠনভুক্ত ৩০টি হোটেল-রেস্তোরাঁয় মোট মূল্যের ওপর ২০ শতাংশ ছাড় দিচ্ছি।'
গাজীপুর থেকে কুয়াকাটায় বেড়াতে এসেছেন তানজিম রহমান। তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পদ্মা সেতু চালুর পর বাসে করে মাত্র ৬ ঘণ্টায় কুয়াকাটায় এসেছি। আগে এখানে আসতে ১০-১২ ঘণ্টা সময় লাগত। এখন ভ্রমণের ক্লান্তি নেই বললেই চলে। তার ওপর আবাসিক হোটেল ও রেস্তোরাগুলোতে বিশেষ ছাড়ের কারণে আমাদের আর্থিক সাশ্রয় হচ্ছে।'
ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার (টোয়াক) সভাপতি রুম্মান ইমতিয়াজ তুষার জানান, পদ্মা সেতুর চালুর পর কুয়াকাটায় পর্যটকদের সংখ্যা বেড়েছে। এতে এখানকার পর্যটনকেন্দ্রিক ব্যবসায়ীরা খুশি।
'পর্যটকরা যেন কুয়াকাটার সৌন্দর্য স্বাচ্ছন্দ্যে উপভোগ করতে পারেন সেজন্য আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি,' যোগ করেন তিনি।
Comments