ওভারসাইজড শার্টে ফ্যাশন
ধরুন, আপনি একই পোশাক অনেক দিন ধরে পরতে চান। সেক্ষেত্রে ওভারসাইজড শার্ট হতে পারে আপনার জন্য মানানসই ও ফ্যাশনেবল একটি সমাধান। স্ট্রাইপ, ক্ল্যাসিক সাদা বা নীল— শার্ট যাই হোক না কেন, আপনি সেগুলো দিয়েই ফ্যাশন করতে পারবেন নানাভাবে।
মনে আছে ৯০ দশকের ব্লকবাস্টার মুভি 'প্রিটি ওমেনের' কথা? সেখানে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করা জুলিয়া অগোছালোভাবে তার শার্টের হাতা ভাঁজ করে নান্দনিক ফ্যাশন করেছিলেন। সেভাবেই, এই তীব্র গরমের মধ্যে বেড়াতে গেলে বা কলেজ বা ভার্সিটিতে এই ওভারসাইজড শার্ট হতে পারে আপনার ফ্যাশনের অংশ। এর সঙ্গে যোগ করতে পারেন ডেনিম বা ফর্মাল প্যান্ট, শর্টস বা স্কার্ট।
ওভারসাইজড শার্ট কেনার সময় শার্টের ফিটিং এবং কলারের শেপ নির্বাচন করা জরুরি বিষয়। আপনি যদি ছেলেদের ফর্মাল শার্টের স্টাইল পছন্দ করেন, তাহলে শার্টের সঙ্গে প্যান্ট হিসেবে ট্রাউজার পরতে পারেন। এতে করে ফর্মাল শার্টেই একটি ফ্যাশনেবল লুক আপনার মধ্যে আসবে। ফর্মাল শার্টের সঙ্গে কালো বা গাঢ় নীল বা নেভী ব্লু রঙের প্যান্ট পরতে পারেন। এতে একটা ক্লিন লুক পাবেন।
আপনার যদি স্ট্রাইপের শার্ট বেশি পছন্দ হয়, তাহলে বাদামি বা আকাশী নীল বা অফ হোয়াইটের সঙ্গে বেইজ কিংবা অলিভ প্যান্ট পরতে পারেন। সেইসঙ্গে শার্টের হাত ভাঁজ করে নিয়ে পরতে পারেন ক্যাপ। চুল খোলা রাখলেই বেশি ভালো।
ডাবল পকেট শার্টগুলো লুজ জিন্স ও ফর্মাল প্যান্টের ভেতর টাক করে পরলেই বেশি ভালো লাগে। সেক্ষেত্রে শার্টের অল্প কিছু অংশই প্যান্টের ভেতর থাকে। বাকি অংশ বাইরেই থাকে বেশি। এ ছাড়া, ডাবল পকেট শার্টের সঙ্গে ডেনিমের শর্ট প্যান্ট ও স্কার্ট বেশ মানিয়ে যায়। বিশেষ করে যখন কেউ ট্যুরে বা বেড়াতে যাবেন তখন।
এবার আসি এই শার্টের সঙ্গে গয়না বা এক্সেসরিজ কী পরবেন সেই প্রসঙ্গে। প্রথমত এই শার্টের সামার ফ্যাশনে যত কম জুয়েলারি পরা যায়, ততই ভালো। শার্টের কলার যদি বন্ধ থাকে তাহলে গলায় কোনো কিছু পরার দরকারই নেই। আর যদি শার্টের কলার খুলে পরেন, তাহলে হালকা ও চিকন সাইজের চেইন ও ছোট লকেট পরা যেতে পারে। চুল খোলা রাখলে কানের দুল হিসেবে ছোট টপ পরতে পারেন। হাতে বেল্টের ঘড়ি ও ইচ্ছে হলে ব্রেসলেট।
ইনস্টাগ্রামে ঢুঁ দিলে দেখা যায়, আসলে প্রতিদিনই বিভিন্ন রকমের ফ্যাশন তৈরি হচ্ছে এই ওভারসাইজড শার্টের। আপনি সেখান থেকেও বাছাই করে নিতে পারেন আপনার ফ্যাশন।
Comments