এবার কি প্রতিকূলতা কাটিয়ে উঠতে পারবে বাংলাদেশ?

গ্রুপ পর্বের নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে মালদ্বীপের কাছে যখন ২-০ গোলে হেরে যায় বাংলাদেশ, তখন সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে টিকে থাকার ভাগ্যটা চলে যায় অন্যদের কাছে। তবে রোববার রাতে ফের ভাগ্য বদল হয়। নেপালকে ১-০ গোলে হারিয়ে বাংলাদেশের ফাইনালে ওঠার আশা বাড়িয়ে দেয় ভারত। 

মালেতে আগামী ১৬ অক্টোবরের ফাইনালে উঠতে হলে এখন নিজেদের শেষ ম্যাচে জিততেই হবে বাংলাদেশ ও ভারতকে। যেখানে বাংলাদেশ মোকাবেলা করবে নেপালের বিপক্ষে। আর ভারতের প্রতিপক্ষ স্বাগতিক মালদ্বীপ। অন্যদিকে কেবল ড্রই ফাইনাল নিশ্চিত করে দেবে নেপাল ও মালদ্বীপের।

বাংলাদেশের জন্য ম্যাচটি এখন নিঃসন্দেহে বাঁচা-মরার। টিকে থাকতে হলে জিততেই হবে। অবশ্য বাঁচা-মরার এমন দৃশ্য নতুন কিছু নয় তাদের জন্য। এ টুর্নামেন্টের আগের ১২টি সংস্করণের মধ্যে আটটিতেই এমন পরিস্থিতিতে পড়েছিল দলটি। তবে তার সিংহভাগেই ব্যর্থ হয়েছে তারা।

গতবারসহ এই আটবারের পাঁচবারই ব্যর্থ হয়েছিল বাংলাদেশ। সাফল্য পাওয়া তিনটি আসরের প্রথমটি ছিল ১৯৯৫ সালে অভিষেক আসরে। সেবার নেপালকে ২-০ গোলে হারিয়ে সেমি-ফাইনাল নিশ্চিত করেছিল লাল-সবুজ জার্সিধারীরা।

আর গোয়ায় ১৯৯৯ সালে সাফের চতুর্থ আসরে পাকিস্তানকে ৪-০ গোলে পরাজিত করে তিন দলের গ্রুপে গোল ব্যবধানে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। শেষবার বাংলাদেশ এ চ্যালেঞ্জ উতরাতে পেরেছিল ২০০৯ সালে ঢাকায়। শ্রীলঙ্কাকে ২-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে সেমিতে নাম লিখিয়েছিল দলটি।

২০০৯ এর আগে বাংলাদেশ এমন পরিস্থিতি ঘোরানোর চেষ্টায় ব্যর্থ হয়েছিল দুই বার। উভয় ক্ষেত্রেই প্রয়োজন ছিল জয়। প্রথমবার ১৯৯৭ সালে নেপালে, যেবার ভারতের কাছে ০-৩ গোলে হেরে আত্মসমর্পণ করেছিল বাংলাদেশ। এরপরে ২০০৮ সালে টুর্নামেন্টের সপ্তম আসরে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ০-১ গোলে হেরেছিল দলটি।

২০০৯-এর পরের চারটি টুর্নামেন্টে শোচনীয় অবস্থায় আসর শেষ করেছে বাংলাদেশ। জিততেই হবে এমন পরিস্থিতি ২০১১ সালে ভারত, ২০১৩ সালে নেপাল এবং ২০১৮ সালে নিজেদের মাঠ থেকেই বিদায় নেয় তারা।

দিল্লিতে আসরটির নবম সংস্করণে, গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে মালদ্বীপের বিপক্ষে অলআউট খেলতে গিয়ে দ্বীপপুঞ্জটির কাছে ১-৩ গোলে হারের স্বাদ নিয়ে বাদ পড়েছিল বাংলাদেশ। কাঠমান্ডুতে পরের আসরে, টিকে থাকতে হলে পাকিস্তানকে হারাতে হতো তাদের। কিন্তু এগিয়ে থাকা সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত ১-২ গোলে হেরে যায় তারা।

তবে সবচেয়ে বড় ধাক্কাটি বোধ হয় ২০১৮ সালে খায় বাংলাদেশ। পাঁচটি আসরে ব্যর্থ হওয়ার পর ঘরের মাঠে ভালো কিছু করতে শুরুটাও ছিল দারুণ। ভুটান ও পাকিস্তানের বিপক্ষে টানা দুটি জয়। নেপালের সঙ্গে শেষ ম্যাচে কেবল প্রয়োজন ছিল একটি ড্র। কিন্তু নেপালের কাছে ২-০ গোলে হেরে গোল ব্যবধানে টুর্নামেন্ট থেকেই বাদ পড়ে যায় তারা।

এবারও সেই পুরনো পরিচিত পরিস্থিতিতেই বাংলাদেশ। ১৬ বছর পর আরও একটি ফাইনাল খেলতে নেপালকে হারাতেই হবে দলটিকে। কিন্তু বড় প্রশ্ন, বাংলাদেশ কি এই প্রতিকূলতা কাটিয়ে উঠতে পারবে?

Comments

The Daily Star  | English

'Shoot directly': Hasina’s order and deadly aftermath

Months-long investigation by The Daily Star indicates state forces increased deployment of lethal weapons after the ousted PM authorised their use

1d ago