সাকিব খেলতে না পারলে কোন পথে হাঁটবেন, জানালেন ডমিঙ্গো
তিনদিন আগেই সাকিব আল হাসান কোভিড আক্রান্ত হয়ে ছিটকে পড়েছিলেন। তাকে ছাড়াই পরিকল্পনা এগিয়ে রেখেছিল বাংলাদেশ দল। শুক্রবার সকালে তার করোনামুক্ত হয়ে দলে যোগ দেওয়ার খবরে তৈরি হয় নতুন আলোচনা। তার খেলার সম্ভাবনা তাই আছেই। তবে তিনি না খেলে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে দেখা যেতে পারে একাদশে।
শুক্রবার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দলের অনুশীলনের আগেই গণমাধ্যমে কথা বলেছেন বাংলাদেশের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। সন্ধ্যায় সাকিব দলে যোগ দিলেও অনুশীলন করতে পারবেন শনিবার। টেস্টের আগের দিনের সেই অনুশীলন সেশনে দেখা হবে তিনি খেলতে পারছেন কিনা।
সাকিব পুরো ফিট না হলে বল করতে পারেন এমন একজন ব্যাটিং অলরাউন্ডারকে একাদশে রাখতে চায় বাংলাদেশ দল। সেদিক থেকে বাংলাদেশের কোচের স্পষ্ট ইঙ্গিত মোসাদ্দেকের দিকে, 'বোলিং করতে পারে এমন কাউকে আমাদের বিবেচনা করতে হবে। এটা আমাদের জন্যও চ্যালেঞ্জিং। যেমন আমাদের ইয়াসির আলী রাব্বী আছে। যে কিনা দুর্দান্ত পারফর্ম করছে। কিন্তু আমাদের এমন কাউকে প্রয়োজন যে কিনা ১৫-২০ ওভার বোলিং করতে পারে। মুমিনুল… আমি নিশ্চিত না যে ১০-১৫ ওভার বোলিং করতে পারে। শান্তও বোলিং করে কিন্তু ৬-৭ ওভারের বেশি নয়। আমরা শেষ দুই বছরই ৬-৭ নম্বরে ব্যাটিং এবং ১০-১৫ ওভার বোলিং করতে পারে এমন কাউকে খুঁজছি। সাকিবের অনুপস্থিতিতে আমরা এখনও এমন কাউকে খুঁজছি। সাকিব থাকলে কাজটা সহজ। কিন্তু সাকিবকে খুব বেশি সময় পাওয়া যায় না।'
তিন বছর পর টেস্ট দলে ফেরা মোসাদ্দেক হতে পারেন তেমন সমাধান। মূলত ব্যাটিংটা তার শক্তির জায়গা হলেও অফ স্পিনে ১০-১৫ ওভার বল করার সামর্থ্য আছে তার। ডমিঙ্গো জানালেন খেলার জন্য বিবেচনায় আছেন এই অলরাউন্ডার, 'সে আমাদের নির্বাচনের ভাবনায় আছে। সে বোলিং করতে পারে। সাকিব খেলতে না পারলে মোসাদ্দেক খেলার জন্য বিবেচনায় আছে।'
উইকেটকিপার লিটন দাসসহ উপরের লাইনআপের ছয়জন চূড়ান্তই আছে। সাকিব বা মোসাদ্দেক খেললে তিনি জায়গা নেবেন সাতে। এরপর দুই বিশেষজ্ঞ স্পিনার নাঈম হাসান ও তাইজুল ইসলাম। তাদের সঙ্গে থাকবেন দুই পেসার। সেক্ষেত্রে ইয়াসিরের একাদশে থাকার সম্ভাবনা কম।
Comments