সাকিবের ঝলকের পর বিশ্বকে নিয়ে ম্যাথিউসের প্রতিরোধ
লাঞ্চের পর নেমেই শ্রীলঙ্কার দুই উইকেট তুলে নিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। প্রতিপক্ষকে সাড়ে তিনশোর আগেই বেধে রাখার সম্ভাবনাও জাগিয়েছিলেন তিনি। তবে দশ নম্বরে নামা বিশ্ব ফার্নান্দোকে নিয়ে দুর্দান্ত এক প্রতিরোধ গড়েছেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। শেষ দিকে মুশফিকুর রহিম বিশ্বের ক্যাচ ছাড়লে হতাশা বেড়েছে বাংলাদেশ দলের।
চট্টগ্রামের দ্বিতীয় সেশনে ২৪ ওভার ব্যাট করে দুই উইকেট হারিয়ে ৪৮ রান তুলে শ্রীলঙ্কা। ১৪০ ওভার ব্যাট করে ৮ উইকেটে ৩৭৫ রান নিয়ে চা-বিরতিতে গেছে তারা।
৪৮ রানে সেশনে দুই উইকেট নিলেও সেশনটা বাংলাদেশের বলা যাচ্ছে না। নবম উইকেট জুটিতে যে ২৩.৩ ওভার টিকে গেছেন ম্যাথিউস-বিশ্ব। তাদের জুটিতেই এসেছে ৪৭ রান।
৩৫৩ বলে ১৭৮ রানে অপরাজিত আছেন ম্যাথিউস। ৭৭ বলের চোয়ালবদ্ধ দৃঢ়তায় ১৭ করে ব্যাট করছেন বিশ্ব।
অথচ সেশনের শুরুটা ছিল আলো ঝলমলে। লাঞ্চের পর ফিরে দ্বিতীয় বলেই সাকিবের সাফল্য। স্পিনিং অলরাউন্ডার রমেশ মেন্ডিস সাকিবের সোজা পুল করতে গিয়ে লাইন মিস করে হন বোল্ড। পরের বলে এলবিডব্লিউতে বিদায় লাসিথ এম্বুলদেনিয়ার।
৫ উইকেটে ৩১৯ থেকে হুট করে আসা ধসে ৩২৮ রানেই পড়ে যায় ৮ উইকেট।
এরপরই বিশ্বকে নিয়ে ম্যাথিউসের প্রতিরোধ। এক পাশে টেল এন্ডার পেয়েও একদম অস্থির হননি অভিজ্ঞ ম্যাথিউস। দ্রুত রান বাড়ানোর চেষ্টায় কোন ঝুঁকি নেননি। উইকেটে পড়ে থেকে সময় নেন। দশে নামা বিশ্বও দেন যোগ্য সঙ্গত। আস্থার সঙ্গে একের পর এক বল ঠেকাতে থাকেন তিনি।
সাকিব বল দিচ্ছিলেন ঝুলিয়ে। সেসব বলের লোভ সামলে নেন তারা দুজনেই। অ্যারাউন্ড দ্য উইকেটে এসেও চেষ্টা চালান সাকিব। সেটাও নসাৎ করে দেন তারা, এমনকি লেগ স্পিন করেও ব্যাটারদের ভড়কে দিতে চেয়েছেন তিনি। দুই পেসার খালেদ ও শরিফুল ইসলাম একের পর বাউন্সার দিয়ে প্রতিরোধ ভাঙার চেষ্টা চালাতেও তাও সয়ে যান বিশ্ব। ম্যাথিউস তার উপর পুরো আস্থা যে কেন রেখেছেন, তার প্রমাণ দিতে থাকেন এই টেল এন্ডার।
তবে সেশনের শেষ দিকে আউটের সুযোগ দিয়েছিলেন তিনি। সাকিবের বলে মিড অনে ১৬ রানে থাকা বিশ্বের সহজ ক্যাচ ফেলে দেন মুশফিক। মাথায় হাত পড়ে বাংলাদেশের শীর্ষ তারকার। ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী এখনো এরকম ভুল হতে পারে ভীষণ খরুচে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
(দ্বিতীয় দিনের চা-বিরতি পর্যন্ত)
শ্রীলঙ্কা প্রথম ইনিংস: ১৪০ ওভারে ৩৭৫/৮ (ওসাদা ৩, দিমুথ ৯, মেন্ডিস ৫৪, ম্যাথিউস ১৭৮*, ধনঞ্জয়া ৬, চান্দিমাল ৬৬, ডিকভেলা ৩, রমেশ ১, এম্বুলদেনিয়া ০, বিশ্ব ১৭*; শরিফুল ০/৪৮, খালেদ ০/৬৬, নাঈম ৪/৯৭, তাইজুল ১/১০০, সাকিব ৩/৬০)
Comments