সাইমন্ডস স্মরণে চট্টগ্রামে এক মিনিট নীরবতা
বাংলাদেশে সকাল বেলা ঘুম ভাঙতেই অস্ট্রেলিয়া থেকে ছুটে এসেছে দুঃসংবাদ। মর্মান্তিক এক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন বিশ্বকাপ জয়ী অস্ট্রেলিয়ান তারকা অ্যান্ডু সাইমন্ডস। তার এমন অকাল মৃত্যুতে দ্রুতই শোক জানায় বিসিবি। চট্টগ্রাম টেস্ট শুরু আগে পালন করা হয় এক মিনিটের নীরবতা।
রোববার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রথম টেস্ট শুরুর আগে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা দুদলের খেলোয়াড়, ম্যাচ অফিসিয়াল ও সংশ্লিষ্ট সকলে এক মিনিট নিরবে দাঁড়িয়ে শ্রদ্ধা জানান এই ক্রিকেটারকে। এই সময়ে জায়ান্ট স্ক্রিনে ভেসে উঠে সাইমন্ডসের ছবি।
অস্ট্রেলিয়ার স্থানীয় সময় আগের রাতে কুইন্সল্যান্ডের টাউন্সভিল শহরের অদূরে দুর্ঘটনায় পড়ে সাইমন্ডসের গাড়ি। রাস্তা থেকে ছিটকে গিয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান ৪৬ বছর বয়েসি অজি তারকা।
সীমিত ওভারের ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার সব সময়ের সেরা তারকাদের একজন সাইমন্ডস। ১৯৯৮ সালে সাইমন্ডসের ওয়ানডে অভিষেক হয়। ৩৯ দশমিক ৭৫ গড় আর ৯২ দশমিক ৪৪ স্ট্রাইকরেটে ৫ হাজার ৮৮ রান করেছেন তিনি। ওয়ানডেতে তার আছে ১০৩টি ছক্কা। ২০০৩ ও ২০০৭ সালের বিশ্বকাপ জয়ে রেখেছেন অবদান। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের জন্য বিশ্ব ক্রিকেটের বড় নাম ছিলেন তিনি।
ব্যাটিংয়ে নাম কুড়ানো এই তারকার ওয়ানডেতে বল হাতেও আছে ১৩৩ উইকেট। বল করতে পারতেন অফ স্পিন ও মিডিয়াম পেস দুই ধরনেই।
সাইমন্ডস বিখ্যাত ছিলেন তার চোখ ধাঁধানো ফিল্ডিংয়ের জন্যও। অবিশ্বাস্য সব ক্যাচ, দুর্দান্ত রানআউটে নিজেকে আলোয় এনেছেন বহুবার। সেই সময়ে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে সব মিলিয়ে সাইমন্ডস ছিলেন পূর্ণাঙ্গ অলরাউন্ডার।
ওয়ানডে অভিষেকের ৬ বছর পর ২০০৪ সালে টেস্ট অভিষেক সাইমন্ডসের। টেস্ট ক্যারিয়ার ২৬ টেস্টে থেমে গেলেও সেখানে ইংল্যান্ড ও ভারতের মতো দলের বিপক্ষে আছে রাজকীয় ইনিংস।
সাইমন্ডসের এমন মৃত্যু অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটের জন্য প্রচণ্ড ধাক্কা। দুইমাস আগেই আগেই তারা হারিয়েছিলেন কিংবদন্তি শেন ওয়ার্ন ও রডনি মার্শকে।
Comments